রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি ইবির কর্মকর্তার, বহিষ্কার দাবি
Published: 22nd, April 2025 GMT
রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
কটূক্তিকারী হলেন, একই বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক। তিনি ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ওই কর্মকর্তার নেমপ্ল্যাট ভেঙ্গে প্রতিবাদ ও তার বহিষ্কারের আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার তদন্তে বিভাগের অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
ইবি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিলের দাবি
বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে ইবির প্রশাসন ভবনে তালা
সোমবার (২১ এপ্রিল) রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করায় মোজাম্মেল হককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
শিক্ষার্থীদের আবেদনে বলা হয়েছে, মোজাম্মেল হক রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেন। তিনি রাসুল (সা.)-কে নারীলোভী বলে সম্বোধন করেন। যার উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ বিদ্যমান এবং তাকে তার এলাকাবাসী ধরে পিটুনি দিয়েছেন। ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে তিনি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। এজন্য মোজাম্মেল হককে বিভাগ থেকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
এ ঘটনা তদন্তে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, বিভাগের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন করে। এতে তারা তার বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি জানায়।”
তিনি বলেন, “আমরা ঘটনাটির তদন্ত করার জন্য ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করব।”
মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে নবী-রাসূলদের নিয়ে কটূক্তি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। পরে তারা তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ রউফ খান।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম জ ম ম ল হক কর মকর ত তদন ত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র
গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানেরইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।
ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।