পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান ডিবিএর
Published: 23rd, April 2025 GMT
পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে শৃঙ্খলা এবং বিনিয়োগের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ)।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ডিবিএর সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনের প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি সফল করতে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে ডিবিএর পক্ষ থেকে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর এমডি ও চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে এ সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ডিবিএর বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিবিএর পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে সকল সম্মানিত সদস্যদের বিনীত অনুরোধ করা যাচ্ছে যে, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীর বৃহত্তর স্বার্থে বাজারের শৃঙ্খলা ও বিনিয়োগের পরিবেশ বিনষ্টকারী সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থেকে সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পুঁজিবাজারের সদস্য ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে পাঠানো বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সাথে আপনাকে জানাচ্ছি যে, পুঁজিবাজারে প্রতিদিন যেভাবে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজিবাজার নামে যে সেক্টরটি রয়েছে, তা মাটির সাথে মিশে যাবে। এখানে সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন, তারা নিঃস্ব হয়ে যাবেন। এমনকি পুঁজিবাজারে সাথে যারা বেশি জড়িত—মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আবার কতগুলো বন্ধ হওয়ার পথে। চাকরি হারাচ্ছেন অনেক কর্মচারী-কর্মকর্তা। চাকরি থেকে তাদেরকে ছাঁটাই করা কোনো সমাধান নয়। আপনারা যদি সোচ্চার হন, তাহলেই কেবল এই পুঁজিবাজারের উন্নতি সম্ভব। তাই, অনতিবিলম্বে বিনিয়োগকারী, প্রতিষ্ঠান ও নিজের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায়ে আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন। ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আপনাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মকর্তা এবং কর্মচারী প্রেরণ করে আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সফল করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
ঢাকা/এনটি/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র ক র জ হ উজগ ল অন র ধ ড ব এর
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন
ফতুল্লার লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
আগামী দুই দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে সড়ক অবরোধ সহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে মানববন্ধন থেকে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এতে করে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কের উভয় পাশে যানবাহন বন্ধ হয়ে যানজটের সৃস্টি হয়।
বুধবার সকাল ১০ টার দিকে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুস্ঠিত হয়। ১১ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন আজ দুপুরের পর এলাকাবাসীর সাথে নির্বাহী কর্মকর্তা কথা বলবেন তাদের সমস্যার কথা শুনবেন এবং দ্রুতই তা সমাধানের জন্য কাজ করবেন।
এ সময় লালপুর পৌষাপুকুরপাড় পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন মুসা বলেন জলাবদ্ধতার কারনে মুসুল্লিরা নামাজ পরতে পারছেনা,কর্মজীবিরা কাজে যেতে পারছেনা,স্কুল -কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেনা,নোংরা পানির কারনে ঘরে ঘরে পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পরেছে।
আমাদের কে আশ্বাস করেছিলো সেনাবাহিনী কতৃক যে পাম্প বসানো হয়েছিলো সেটা চালু হলে আমাদের দ্ঃূক কস্ট লাঘব হবে। কিম্ত সে পাম্প চালু হলেও আমাদের কস্ট শেষ হয়নি। সেই পাম্প আমাদের কোন কাজে আসেনি।
আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি দিয়েছি তারা এসে দেখেও গেছে কিন্ত আজো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। বিগত সরকারের আমলে তখনকার চেয়ারম্যান, এমপি সাহেবের নিকট গিয়েছি। শামীম ওসমান এসে দেখে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। তা শুধু কথার কথাই ছিলো। কিন্ত কোন কাজে আসেনি।
ইউপি সদস্য মাঈনুদ্দিন জানায়, দীর্ঘদন যাবৎ আমরা এই সমস্যা আছি। মৃত মানুষের লাশ পযন্ত দাফন করতে পারছিনা। মসজিদের ভিতরে পানি নামাজ পরতে পারছিনা। রাস্তায় বের হতে পারছিনা।
আমাদের কোরবানী ঈদে পশু কোরবানী দিতে হয় ছাদের ওপরে নতুবা অন্য এলাকায় গিয়ে। এ সব কিছুই সরকারের সকল বিভাগের কর্মরত কর্তার জানে। কিন্ত শুধু আশ্বাস পেয়ে গেছি। কোন সমাধান পাইনি তাই আজ বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে আমাদেরকে।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার কবলে রয়েছি। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। ফতুল্লায় এতো উন্নয়ন হয়, কিন্তু লালপুর পৌষাপুকুর পাড়ের জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী কোন সমাধান হচ্ছেনা। আমরা চাই এই জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান হোক।
ব্যবসায়ী হাবিব জানায়, আমাদের সমস্যা দীর্ঘদিনের। হাসিনা সরকারের আমলে আমাদের কোন কাজ হয় নাই। আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি দিয়েছি। কিন্ত কোন কাজ হয়নি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোন প্রকার টেক্স আর দিবোনা।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, লালপুর- পৌষাপুকুরপাড় পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আঃ বারী, আজাদুর রহমান আজাদ,আলামিন বাগ পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক রফিক, লালপুর আলামিন বাগ পঞ্চায়েতের সভাপতি মো. জনি, শামীম।