ঢাকার ধামরাইয়ে অটোরিকশাচালক আলী (৩৮) হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ধামরাই থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই উত্তরপাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা মো.

তোফাজ্জল মিয়া (৪৮) ও ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের বাটুলিয়া এলাকার বাসিন্দা ও নিহতের স্ত্রী জয়তুন (৪০)।

পুলিশ জানায়, তোফাজ্জল মিয়ার সঙ্গে জয়তুনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। চলতি মাসে তারা আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ী, গত ২০ এপ্রিল বাঁশ কেনার কথা বলে আলীকে উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় নিয়ে যান তোফাজ্জল। সেখানে কথাবার্তার একপর্যায়ে আলীর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন তিনি। এতে আলী জ্ঞান হারান। পরে তোফাজ্জল মুঠোফোনে জয়তুনকে বিষয়টি জানান। এরপর জয়তুন ঘটনাস্থলে এসে চাকু দিয়ে আলীর মাথা ও পিঠে একাধিক আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে সেখানে ফেলে চলে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় শিশুরা ভবনটিতে খেলাধুলা করতে গিয়ে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ প্রথমে তোফাজ্জল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জয়তুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জয়তুন পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

নোমানী হত্যার আসামিকে কোপানোর দৃশ্য ভাইরাল, জড়িতরা অধরা

শিবিরনেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে ও কুপিয়ে জখম

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির বলেন, ‘‘গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’’

ঢাকা/সাব্বির/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ