লিভারপুলের শিরোপার হাতছানি, অ্যানফিল্ডের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৫ লাখ টাকায়
Published: 27th, April 2025 GMT
দরকার মাত্র আর একটা পয়েন্ট। সেটা লিভারপুল পেয়ে যেতে পারে আগামীকাল রোববার, অ্যানফিল্ডে টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচেই। ড্র করতে পারলেই প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে লিভারপুল, অ্যানফিল্ডে হবে শিরোপা-উৎসব। মাঠে বসে সেই উৎসব দেখার, সেই উৎসবে যোগ দেওয়ার সুযোগ হারাতে চাইছেন না লিভারপুল সমর্থকেরা। আর সেই সুযোগটাই নিচ্ছে কালোবাজারিরা। লিভারপুলের সম্ভাব্য শিরোপা-উৎসবের ম্যাচের অনেক টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার পাউন্ডের বেশি দামে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা পাঁচ লাখ টাকার বেশি!
আরও পড়ুনএল ক্লাসিকো: আজ কেমন হবে ফ্লিকের কৌশল, কোথায় বার্সেলোনার দুর্বলতা ২৬ এপ্রিল ২০২৫১৯৯০ সালের পর এই প্রথম অ্যানফিল্ডে সমর্থকদের সামনে শিরোপা–উৎসবের সুযোগ পাচ্ছে লিভারপুল। সর্বশেষ তারা যেবার ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, ২০১৯-২০ মৌসুমে ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই সময় খালি গ্যালারিতেই উদ্যাপন করতে হয়েছিল তাদের। ফলে লিভারপুল সমর্থকদের একাধিক প্রজন্ম অ্যানফিল্ডে বসে দলের শিরোপা উৎসব দেখার সুযোগ পায়নি, যে সুযোগ এসেছে এবার। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই সুযোগ হারাতে চাইছে না তারা। ফলে রোববারের ম্যাচের টিকিটের চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া।
প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে আর একটি পয়েন্ট দরকার লিভারপুলের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’