ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামির জামিন, একদিন পর বিক্ষোভ
Published: 27th, April 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কুষ্টিয়ায় পৌরসভার সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নানকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
গ্রেপ্তারের একদিন পর শনিবার (২৬ এপ্রিল) তাকে জামিন দেন কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোপাল চন্দ্র সরকার। এর প্রতিবাদে রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে ‘সুশীল সমাজ ও ছাত্রজনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম আসামিকে জামিন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
ছয় দফা দাবিতে রাজশাহী পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
আরো পড়ুন: হত্যাচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার গ্রেপ্তার
অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত ৫৭ নম্বর আসামি। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়াদি ফকিরপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতে সক্রিয় ছিলেন মান্নান। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। কিছুদিন পলাতক থাকার পর পুনরায় কুষ্টিয়া পৌরসভার দাপ্তরিক কাজে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি লাঠি হাতে নিয়ে ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জোরালো হয়।
কুষ্টিয়া আদালতের ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলাম বলেন, “আব্দুল মান্নানকে জামিন দেওয়ার প্রতিবাদে আদালত চত্বরে মানববন্ধন করেছেন ছাত্র-জনতা। ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। এতে আহত ইয়ামিন আলী কুষ্টিয়া মডেল থানায় ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। ওই মামলার আসামি আব্দুল মান্নান।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, “মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল মান্নানকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। গত শনিবার আদালত তাকে জামিন দেন।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’