কারা অধিদপ্তরের পরীক্ষার সূচি প্রকাশ
Published: 28th, April 2025 GMT
কারা অধিদপ্তরের কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের শারীরিক যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্যারেড মাঠে প্রার্থীদের শারীরিক যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই দিন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীরা এই ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
আরও পড়ুনবিসিএসে নতুন সিলেবাস, ভারত–শ্রীলঙ্কা–সিঙ্গাপুরের চাকরির পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে কাজ করছে পিএসসি৭ ঘণ্টা আগেপরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনাপরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রবেশপত্রের প্রিন্টেড (রঙিন) এক কপি পরীক্ষা বোর্ডের কাছে জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্রের রঙিন কপি বা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির অনলাইন আবেদনের কপি সঙ্গে রাখতে হবে। পুরুষ প্রার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য হাফপ্যান্ট ও গেঞ্জি সঙ্গে আনতে হবে।
নারী প্রার্থীদের শাড়ি ব্যতীত সুবিধাজনক পোশাক পরে আসতে হবে। পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষার মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না। মুঠোফোন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও অন্যান্য মূল্যবান দ্রব্য নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না।
শুধু শারীরিক যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং এ নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা: যাত্রা শুরু করবেন কোথা থেকে, কীভাবে?৭ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর ক ষ পর ক ষ র প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।