এমপিওভুক্তির ৯১ ফাইল আটকে রেখেছেন ডিডি, দুদকের অভিযান
Published: 30th, April 2025 GMT
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে আবারও ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এবার এমপিওভুক্তির ৯১টি ফাইল আটকে রাখার অভিযোগে তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল এই অভিযান চালান। দুদকের কর্মকর্তারা জানান, ডিডি আলমগীর কবির ঘুষ ছাড়া ফাইল অনুমোদন করেন না— এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
গত ১১ মার্চ একই অফিসে অভিযান চালিয়ে ডিডি আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল দুদক। এবার তার বিরুদ্ধে আরও ৯১টি ফাইল আটকে রাখার অভিযোগের সত্যতা মিলল।
আরো পড়ুন:
দেশজুড়ে এলজিইডি অফিসে দুদকের হানা, মিলেছে অনিয়মের তথ্য
রাজশাহী এলজিইডিতে দুদক: এক ঠিকাদারের কাজে অন্যজন
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে এমপিওভুক্তির জন্য সম্প্রতি ১৫২টি আবেদন জমা পড়ে। এগুলো প্রথমে পরিচালক মোহা.
অভিযোগ রয়েছে, ফাইল আটকে রেখে ঘুষ আদায় করেন ডিডি আলমগীর কবির। অভিযান চালানোর সময় তিনি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। দুদকের কর্মকর্তারা পরিচালকের কাছ থেকেই প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করেন। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।
মাউশির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিডি আলমগীর কবির নানা অজুহাতে তা করেননি। এর আগেও যখন তিনি ১৫১টি ফাইল আটকে রেখেছিলেন, তখন বহুবার অনুরোধ করেও কোনো লাভ হয়নি। তার বিষয়ে অনেক কথাই কানে আসে।’’
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘‘ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এবার ৯২টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’’
ঢাকা/কেয়া/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব