৯ ব্যাংকের ৯৭৪ পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ, দেখুন নির্দেশনা
Published: 1st, May 2025 GMT
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের সদস্যভুক্ত আটটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘সিনিয়র অফিসার (সাধারণ)’ (নবম গ্রেড) প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষা আগামী ১৬ মে, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। ১০০ নম্বরের এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এক ঘণ্টার। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং পরবর্তী অন্য কোনো তারিখে অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষার কনটেন্ট ও নম্বর বিভাজন প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বুধবার ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের সদস্যভুক্ত আটটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২০২২ সালভিত্তিক ‘সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) ’ (নবম গ্রেড, Job Id-10201)–এর ৯৭৪ শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগে ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। এ নিয়োগে আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে যোগ্য বিবেচিত প্রার্থীদের এমসিকিউ পরীক্ষা আগামী ১৬ মে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রিলিমিনারি (MCQ) পরীক্ষার সিলেবাস ও নম্বর বণ্টন1.
2. English 25x1 = 25;
3. General Mathematics & Quantitative Skills 20x1 = 20;
4. General Knowledge 20x1 = 20;
5. Basic Computer Knowledge 20x1 = 20। Total Marks 100লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস—
1. Focus Writing in English (On Recent Global/Bangladesh Issues) 35;
2. Focus Writing in Bangla (On Recent Global/Bangladesh Issues) 35;
3. General Knowledge (15x2) (Language of questions will be in Bangla) 30;
4. Comprehension (English) (6x5) 30;
5. Mathematics (SSC Level) (5x6) (Language of questions will be in Bangla 30;
6. Translation: English to Bangla 10;
7. Argumentative writing in English 30। Total 200 Marks
*পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম ও সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে যথাসময়ে অবহিত করা হবে।
*সুশৃঙ্খলভাবে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে প্রবেশ এবং চেকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। পরীক্ষা শুরুর পর কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে বিলম্বে উপস্থিতি কোনো অজুহাতেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
*প্রবেশপত্র (১ কপি) ব্যতীত কোনো ধরনের কাগজ, বই, মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক কার্ড (স্মার্ট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা অনুরূপ অন্য কোনো কার্ড), ডিজিটাল/স্মার্ট ওয়াচ বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষা চলাকালীন উল্লিখিত কোনো কিছু পাওয়া গেলে কিংবা কোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করলে উক্ত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে। প্রবেশপত্রে কোনোরূপ খসড়া বা কোনো কিছু লেখা যাবে না।
*পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের উভয় কান দৃশ্যমান রাখতে হবে।
আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের২৮ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ পর ক ষ র স প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।