কুমারখালীতে অপহরণের দেড় ঘণ্টা পর যুবলীগ নেতা এস এম রফিককে থানায় পাওয়া গেছে। স্বজনদের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শহরের শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু এলাকা থেকে ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। 

পুলিশ বলছে, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি কুমারখালীর পদ্মপুকুর ঘাট এলাকায় নাশকতার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় রফিককে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

এস এম রফিক উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তিনি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। 

স্বজনরা জানান, ৫ আগস্টের পর রফিক আত্মগোপনে চলে যান। সম্প্রতি পৌরসভার শেরকান্দি এলাকায় নিজ বাড়িতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে গড়াই নদীর শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু এলাকায় ঘুরতে যান। রাত ১০টার দিকে অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। ওই রাতেই তাঁকে কুমারখালী থানায় পাওয়া যায়। 

রফিকের স্ত্রী আছমা খাতুন বলেন, দুর্বৃত্তরা এস এম রফিককে হত্যার উদ্দেশে অপহরণ করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করেছে। সে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, অপহরণের বিষয়টি সত্য নয়। নাশকতা মামলায় এস এম রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার