তাসকিনের চোটে সুযোগ শরিফুলের, থাকছেন শান্তও
Published: 4th, May 2025 GMT
চোট কাটিয়ে ফেরার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মেডিকেল ছাড়পত্র পাননি পেসার তাসকিন আহমেদ। ফলে আসন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তাসকিনের জায়গায় স্কোয়াডে ফিরছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
চলতি মে মাসেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। এরপর পাকিস্তানের মাটিতে হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দুটি সিরিজের জন্য আজ (রোববার) বিকেলে ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দীর্ঘদিন ধরে ফর্মহীনতায় থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত নিয়ে সমালোচনা চলছিল। শেষ ১৮ ইনিংসে নেই একটি ফিফটিও, স্ট্রাইক রেটও নিচে নেমেছে ১১০-এর কোটায়। বিশ্বকাপেও ব্যাট হাতে ছিলেন ব্যর্থ। এমন পারফরম্যান্সের পর তার দল থেকে বাদ পড়ার গুঞ্জন ছিল। তবে দুই সিরিজেই থাকছেন শান্ত।
অধিনায়কত্ব থেকেও আগেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন শান্ত। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে তিনি অনুরোধ করেছিলেন অন্য কাউকে এই দায়িত্ব দিতে। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফিট হলে আরব আমিরাত সিরিজ থেকেই নেতৃত্বে ফিরতে পারেন লিটন কুমার দাস। তার হাতেই তুলে দেওয়া হতে পারে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব। তবে কোনো কারণে লিটন না খেললে সম্ভাব্য নেতৃত্ব পেতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ বা তাওহীদ হৃদয়। তবে হৃদয় ফিরলে বাদ পড়বেন আফিফ হোসেন। স্পিন বিভাগে রাখা হচ্ছে মিরাজ, নাসুম, শেখ মেহেদী ও রিশাদ হোসেনকে। পেস আক্রমণে মুস্তাফিজ, নাহিদ রানা, তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে থাকবেন শরিফুল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে আগামী ১৭ এবং ১৯ মে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ দুটি। এরপর এই মাসের শেষদিকে মাঠে গড়াবে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের অ্যাওয়ে সিরিজ। ২৫ এবং ২৭ মে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হবে ফয়সালাবাদে। এরপর বাকি তিনটি রাওয়ালপিন্ডিতে হবে ৩০ মে, ১ জুন এবং ৩ জুন।
সম্ভাব্য টি২০ দল: লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিম হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, তাওহীদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাহিদ রানা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল টন দ স
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’