জামায়াতের নিবন্ধন: আপিল শুনানির জন্য চলতি সপ্তাহে কার্যতালিকায় উঠছে
Published: 4th, May 2025 GMT
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আংশিক শ্রুত হিসেবে রয়েছে উল্লেখ করে তা শুনানির জন্য আজ আপিল বিভাগে উত্থাপন করা হয়েছে।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে আজ রোববার সকালে বিষয়টি উত্থাপন করেন আপিলকারী পক্ষের আইনজীবী।
আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘কার্যতালিকা ওয়াচ (নজর রাখবেন) করবেন। মঙ্গলবার বা বুধবার কার্যতালিকায় আসবে।’
আদালতে আপিলকারী পক্ষে বিষয়টি উত্থাপন করেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
পরে আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপিল বিভাগ কার্যতালিকায় নজর রাখতে বলেছেন। মঙ্গলবার বা বুধবার আপিলটি কার্যতালিকায় আসবে। সেদিন শুনানি হতে পারে বলে আশা করছি।’
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গত বছরের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীর পক্ষে সেদিন কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন। পরে দেরি মার্জনা করে আপিল ও লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর (রিস্টোর) করে আদেশ দেন। এরপর জামায়াতের আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। গত ৩ ডিসেম্বর শুনানি শুরু হয়। এরপর আরও কয়েক দিন শুনানি হয়।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা ওই বছরই আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে দলটি।
তবে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে জামায়াত আবেদন করে, যা ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। এরপর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক র যত ল ক য় আপ ল ব ভ গ আইনজ ব আগস ট ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
৮ গোলের থ্রিলার শেষে ব্রাজিলের টানা ৫ম কোপা আমেরিকা জয়
এককথায় অবিশ্বাস্য!
মেয়েদের কোপা আমেরিকা ফাইনালে ব্রাজিল–কলম্বিয়া ম্যাচে যা হয়েছে, তা অবিশ্বাস্যই। ম্যাচটা নির্ধারিত সময়েই হেরে যাওয়ার কাছাকাছি ছিল ব্রাজিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তের গোলে সমতা, এরপর অতিরিক্ত সময়ের পাল্টাপাল্টি গোলে আবার সমতা—ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। আর এত সব রোমাঞ্চের পর শেষ হাসি ব্রাজিলেরই, লাতিন আমেরিকা মহাদেশের টানা পঞ্চম শিরোপা।
সব মিলিয়ে কোপা আমেরিকার ১০ আসরের মধ্যে নয়বারই শিরোপা জিতলেন ব্রাজিলের মেয়েরা। ২০০৬ সালে আর্জেন্টিনার কাছে শিরোপা হাতছাড়া না করলে ১০ আসরের প্রতিটি জিততে পারত ব্রাজিল। অন্যদিকে কলম্বিয়াকে দুর্ভাগাই বলতে হয়। শেষ ৫ আসরের মধ্যে চারবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই ব্রাজিলের কাছে হেরেছে তারা।
যোগ করা সময়ে পঞ্চম মিনিট পর্যন্ত ৩–২ গোলে পিছিয়ে ছিল প্রতিযোগিতার সফলতম দল ব্রাজিল। কিন্তু এরপরই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন অবসর ভেঙে ফেরা ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা। তাঁর দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায় ব্রাজিল।
আরও পড়ুনমার্তার নামের পুরস্কারে মনোনয়ন পেলেন মার্তা নিজেই২৯ নভেম্বর ২০২৪৩৯ বছর বয়সী মার্তা এরপর ১০৫ মিনিটে ব্রাজিলকে ৪–৩ ব্যবধানে এগিয়েও দেন। কিন্তু ১১৫তম মিনিটে সমতা ফেরায় কলম্বিয়া, ৪–৪ ড্রয়ে ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে। ম্যাচে জোড়া গোল করলেও পেনাল্টি শুটআউটে অবশ্য গোল করতে ব্যর্থ হন মার্তা। যদিও তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ করতে হয়নি তাঁকে।
টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার হাতে মার্তা