ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হত্যায় তিনজন গ্রেপ্তার: পুলিশ
Published: 14th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি পুলিশ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিনজন পেশায় ভাসমান হকার। তাঁরা রাতে মদ-গাঁজা খায়, নেশা করে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তাঁদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
শাহরিয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।
আরও পড়ুনঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লালমনিরহাটের সাময়িক বরখাস্ত তাপসী তাবাসসুমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুমকে এবার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুমের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ সূচক গুরুদণ্ড দেওয়া হলো।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে অসদাচরণ করায় তাঁকে এ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই কারণে এর আগে তাঁকে প্রথমে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এবং পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছিল।