জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় কলেজের প্রধান ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় তাদের ‘জগন্নাথে হামলা কেন?, ইন্টারিম জবাব চাই’, ‘শিক্ষক লাঞ্ছিত কেন?, ইন্টারিম জবাব চাই’, ‘শিক্ষার সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষা সংস্কার, এখনই দরকার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে বিরোধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

নাসিক ভবনে অটোরিকশাচালকদের হামলার অভিযোগ

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ বর্বর হামলা চালিয়েছে। যদি আবারো শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা হয়, তাহলে হাসিনার মতো অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীরা রুখে দাঁড়াবে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা সরকারকে অনতিবিলম্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।

আবাসন সমস্যার সমাধানসহ তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পদযাত্র করলে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবিচার ও বৈষম্য করা হচ্ছে

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দু-চারজন ছাড়া বর্তমান কমিটির অধিকাংশই আওয়ামী লীগের দোসর বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা যেমন মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে কুক্ষিগত করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আখড়া বানিয়েছিলেন, তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কতিপয় বিতর্কিত মানুষের কারণে দেশের অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবিচার ও বৈষম্য করা হচ্ছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে ইসতিয়াক আজিজ আরও বলেন, বিএনপি করে এমন কেউ এই সংসদের সদস্য হতে পারবে না, এমন তো কোনো আইন নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে যেভাবে নতুন সদস্য ও কমিটিগুলো করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা হলেও বিএনপি করে এমন কেউ সদস্য হতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল গঠনের মধ্য দিয়ে জাতিকে নানা বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। স্বনির্ভর করেছিলেন এই জাতিকে। তার দলের সদস্যরা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হতে বাধার সম্মুখীন হবেন, তা কি কখনও জাতি আশা করেছিল? এর চেয়ে বৈষম্য আর কী হতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার শহীদ বাবলু, মো. মোবারক, শরীফ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ