মুন্সীগঞ্জ সদরের হামিদপুর এলাকার গরুর খামার থেকে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া উন্নতজাতের ৩টি গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ডাকাত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৪ মে) রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ।  

এর আগে একইদিন সকালে কুমিল্লা থেকে ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে গরু ৩টি উদ্ধার করা হয়। ৩টি গরুর মূল্য ১০ লাখ টাকা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লার তুরাজডাঙা এলাকার মৃত বাবুর মিয়ার ছেলে লিটন (৩২) ও দাউদকান্দি এলাকার মৃত মনু মিয়ার ছেলে মো.

শাহাজালাল (৫২)। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ৩ মে রাত সাড়ে তিনটার দিকে হামিদপুর এলাকা আদর্শ গরুর খামারে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় অস্ত্রের মুখে খামারে থাকা লোকজনকে মারধর ও জিম্মি করে গরু লুটে নেয় ডাকাতরা। এঘটনায় খামার মালিক কালাচান মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে কুমিলার দাউদকান্দি থেকে লিটন ও চক্রের ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত শাহজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে নারায়গঞ্জের সোনারগাঁও কলতাপাড়া এলাকার বেপারী ফার্ম থেকে লুন্ঠিত ৩টি উন্নত জাতের গরু উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির আরো জানান, এঘটনায় জড়িত মোট ৬জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

ঢাকা/রতন/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ