ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠি
Published: 15th, May 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২০২০ সালের মেয়র নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের দায়েরকৃত নির্বাচনী মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল দায়ের না করা বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না, সে বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত ‘মতামত প্রদানসংক্রান্ত’ শিরোনামে চিঠিটি আজ বৃহস্পতিবার আইন ও বিচার বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯–এর ধারা ৬ অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে কোনো আইনগত জটিলতা আছে কি- না, এ বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগের কাছে জানতে চেয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া চিঠিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী করে মামলা হলেও তাতে কমিশন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। মামলায় একতরফা রায় হয়েছে। আবার মামলার আরজি সংশোধনীর বিষয়ে হাইকোর্টের রায় আমলে না নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে রায় হয়। এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন হয়েছে। অথচ বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরাজিত মেয়র প্রার্থীর একই ধরনের আবেদন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে খারিজ হয়েছে। আবার সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে প্রার্থীদের মেয়াদকাল-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আইনগত বাধা রয়েছে কি না, সে বিষয়েও মতামত চেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সূত্র: বাসস
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স থ ন য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দুই সপ্তাহে জাপানে ৯০০ ভূমিকম্প
গত দুই সপ্তাহে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের দূরবর্তী তোকারা দ্বীপপুঞ্জে ৯০০টিরও বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। এতে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত পার করছেন দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা। তোকারা দ্বীপপুঞ্জের ১২টি দ্বীপের মধ্যে সাতটিতে প্রায় ৭০০ মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে দূরবর্তী কয়েকটি দ্বীপে কোনো হাসপাতাল নেই।
বিবিসি জানায়, গত বুধবার ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২১ জুন থেকে দ্বীপপুঞ্জটিতে ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, তোকারা এলাকায় এর আগেও ভূমিকম্প হয়েছে। তবে এবার কম্পনের মাত্রা অন্য সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিক।
স্থানীয় গণমাধ্যম এমবিসিকে এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঘুমাতেও ভয় লাগে। মনে হয়, সব সময়ই মাটি কাঁপছে।’
ভূমিকম্পের কারণে দ্বীপপুঞ্জটির কিছু গেস্ট হাউস পর্যটক আসা বন্ধ করেছে। এসব গেস্ট হাউস স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। তোশিমা গ্রামের ওয়েবসাইটে স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার ও প্রশ্ন না করতে অনুরোধ জানানো হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তোশিমা গ্রামের কিছু বাসিন্দা ঘুমের অভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। অতিরিক্ত প্রশ্ন করে ও সাক্ষাৎকার নিয়ে তাদের আর বিরক্ত না করতে কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আকুসেকিজিমা দ্বীপের বাসিন্দা চিজুকো আরিকাওয়া (৫৪) দেশটির দৈনিক আসাহি শিম্বুনকে বলেন, ভূমিকম্প হওয়ার আগে মহাসাগর থেকে অদ্ভুত একটি গর্জন শোনা যায়, বিশেষ করে রাতে। এটা ভীতিকর। সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমরা সবাই চাই, এটা বন্ধ হোক।
আকুসেকিজিমার বাসিন্দাদের সমিতির সভাপতি ইসামু সাকামোতো (৬০) বলেন, অনেক ভূমিকম্প হওয়ার পর মাটি না কাঁপলেও খালি মনে হয় কাঁপছে। নিচে থেকে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ভূমিকম্প শুরু হয়। তার পর বাড়িগুলো দুলতে থাকে। এটি বিরক্তিকর।
কয়েক দশক ধরে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছে জাপান। ১০০ বছর পর একবার এমন ভূমিকম্প হতে পারে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে এ রকম ভূমিকম্পে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন।