জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, জবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ২৪-এর জুলাই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। গতকালই আমাদের আরেকটি সফল আন্দোলনের সমাপ্তি হয়েছে। ছাত্র-শিক্ষকদের এবারের আন্দোলনে আমাদের অভূতপূর্ব সফলতা পাওয়া গেছে।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত ইসলামিক স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলকভাবে অপ্রতুল। তবে তারা অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনকেই মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। অ্যালামনাইরা দেশ-বিদেশে নানা ক্ষেত্রে সফলভাবে কাজ করছে। আশা করি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কেন্দ্রীয়ভাবে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.

মো. রইছ উদ্দীন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই আমরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম। সে লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হলেও তৎকালীন ফ্যাসিবাদী আচরণের কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। জুলাই বিপ্লবের পর অর্জিত গণতান্ত্রিক পরিবেশে আজ আমরা বিভাগের প্রথম অ্যালামনাই পুনর্মিলনী আয়োজন করতে পেরেছি। এই পুনর্মিলনী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।’

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়োজনীয়তা ও দায়িত্ব অনেক। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা ভবিষ্যতে দেশের মন্ত্রী, আমলা এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে একটি সক্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ড. মুহাম্মদ ছালেহ উদ্দীন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন এবং জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো মোশাররফ হোসেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক ও অ্যালামনাইবৃন্দ এতে অংশ নেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য ইসল ম ক স ট ড জ অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির তোপের মুখে শিক্ষার্থীরা

ফরিদপুর শহর পরিষ্কারে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করায় বিএনপির নেতাকর্মীর তোপের মুখে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

বিএনপির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের ছবিসংলগ্ন বিএনপির প্রচার-প্রচারণার ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়েছে।

জানা যায়, শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সড়ক বিভাজকে লাগানো গাছগুলো সংরক্ষণের জন্য গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করেন ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ, মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন, সহ-মুখপাত্র উম্মে হাবিবাসহ অন্য সদস্যরা।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ (তাবরিজ)। তিনি লেখেন, ‘শহর পরিষ্কার করার নামে বিএনপির ব্যানার ফেস্টুনে হাত দেওয়া সহ্য করা হবে না। ... ফলাফল ভালো হবে না।’ এ স্ট্যাটাসের পর পরই বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন বলেন, মূলত সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ব্যানার-ফেস্টুন খোলা হয়েছিল। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে নয়। এ ঘটনার পর থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ব্যানার-ফেস্টুন খোলার প্রতিবাদে জেলা যুবদলের আয়োজনে গতকাল শনিবার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে সংগঠনটি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা। এ সময় সংগঠনটির সভাপতি রাজীব হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানা। তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক বা পরিকল্পিত কিছু না। তারা চান, শহর পরিষ্কার থাকুক। এর পরও এটিকে রাজনৈতিকভাবে নেওয়া হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চান। 

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা পৌরসভার কাজ। শিক্ষার্থীরা কেন করছে?

সম্পর্কিত নিবন্ধ