টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় মুরগির খামারের এক কর্মচারীকে গলা কেটে করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

রবিবার (১৮ মে) দুপুরে কালিহাতী উপজেলার বল্লা রামপুর সড়কের পাশে বলদকুড়া এলাকা থেকে আখতারুল হক ওরফে আখতার হোসেন (৪৫) নামের ওই কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর এলাকার নুর ইসলামের ছেলে।

ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার কিংবা শনিবার রাতে খামারে চুরি করতে আসা দুর্বৃত্তরা আখতারুল হককে হত্যা করে ড্রেনের মধ্যে ফেলে যায়। রবিবার সকালে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে ফার্মের মালিককে জানান। মালিক ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

খামারের মালিক মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, প্রায় ১০ মাস আগে এক লোকের মাধ্যমে তার খামারে কাজ নেন আখতারুল হক। তিনি একাই ওই ফার্মে থেকে কাজ করতেন। মোরশেদ আলম রবিবার সকালে খবর পান, তার খামারের পিছনে মরদেহ পড়ে আছে। পরে তিনি গিয়ে তার কর্মচারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

জাকির হোসেন জানিয়েছেন, আখতারুল হককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আখত র ল মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

মধ্যপাড়া খনিতে শ্রমিকদের ধর্মঘটে পাথর উত্তোলন বন্ধ

চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের কাজে বহালের দাবিতে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন খনি শ্রমিকরা।

বুধবার (২ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে খনির প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।

মধ্যপাড়া কঠিন শীলা খনিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিন তিন শিফটে শ্রমিকদের মাধ্যমে পাথর উত্তোলনের কাজ পরিচালনা করে আসছে। চলতি বছরের মে মাসে কর্তৃপক্ষের দেয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাথর উত্তোলন করেন শ্রমিকরা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ‘প্রোডাকশন প্রফিট বোনাস' না দেয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় খনির ব্লাস্টার শফিকুল ইসলাম, লং ড্রিল অপারেটর রফিকুল ইসলাম, অপারেটর ওমর আলী এবং জুনিয়র হেলপার হাসান আলীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরই প্রতিবাদে এবং প্রোডাকশন প্রফিট বোনাসের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন শ্রমিকরা।

আরো পড়ুন:

৩৪ কোটি টাকার কষ্টিপাথর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর

আন্দোলনরত খনি শ্রমিক সোলাইমান ইসলামসহ চাকরিচ্যুত খনি শ্রমিকরা বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পাথর উত্তোলন করেছি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের 'প্রোডাকশন প্রফিট বোনাস' দিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’’

তারা বলেন, ‘‘আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া শ্রমিকদের পুনরায় চাকরিতে বহালের দাবি জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’’

মধ্যপাড়া পাথর খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ রফিজুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে সকাল থেকে খনির পাথর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে পাথর বিক্রিসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। 

তিনি আরো জানান, শ্রমিকরা সরাসরি পেট্রোবাংলার অধীনে নয়। তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করেন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করছে। 

ঢাকা/মোসলেম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ