বন্দরে এক গার্মেন্টস কর্মীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি  ক্লাবঘরে দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা আটক রেখে শারীরিক নির্যাতনের পর নগদ ৪৬ হাজার টাকা হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত  ছাত্রলীগ নেতা অন্তরসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।

নির্যাতিত গার্মেন্টস কর্মী সোহেল বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ কলেজ মাঠপাড়া এলাকার আইয়ুব খানের ছেলে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী  বাদী হয়ে রোববার (১৮ মে) দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা অন্তর, আকিল ও সাকিবের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ১২টায় বন্দর থানার একরামপুর পৌরসভা সামনে রাস্তা থেকে  ওই  গার্মেন্টস কর্মীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটে ।

এ ব্যাপারে নির্যাতিত  সোহেল গণমাধ্যমকে জানান, আমি পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। বিবাদী অন্তর, আকিল ও সাকিবসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা অন্তরের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে  আমার বিরোধ  চলছিল।

প্রতিদিনের ন্যায়  গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ১২টায় আমি কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে  বন্দর থানার একরামপুর পৌরসভার সামনে পৌছলে ওই সময় প্রতিপক্ষ অন্তর, আকিল ও সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন বিবাদী  মোটর সাইকেলযোগে এসে আমার পথরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে  জোরপূর্বকভাবে আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আকিজ ফ্লাওয়ার মিলস  গেইটের সামনে তাদের  নিজেস্ব ক্লাবে  নিয়ে যায়।

সেখানে উল্লেখিতরা  আমাকে ৩৬ ঘন্টা আমাকে আটকে রেখে হত্যার উদ্দেশ্যে  শারিরীক নির্যাতন চালিয়ে আমার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ৪৬ হাজার টাকা ও দেড়  ভরির ওজনের রুপার একটি বেস লাইট যার মূল্য অনুমান ২ হাজার ৬'শ টাকা জোরপূর্বকভাবে হাতিয়ে  নেয়।

 আমার ডাকচিৎকারের শব্দ পেয়ে স্থানীয় এলাকার বড় ভাই মোঃ হানিফ (৩০) এর মধ্যস্থাতায় আমি বন্দীশালা থেকে মুক্তি পাই এবং উল্লেখিতরা আমার কাছ থেকে আরোও ৭০ হাজার টাকা দাবি করে।

আমি যদি তাদের দাবিকৃত টাকা না দেই তারা আমাকে হত্যা করাসহ বা আমার পরিবারের জানমালের ক্ষতিসাধন করবে হুমকি প্রদান করে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র ম ন টস

এছাড়াও পড়ুন:

মেসের বারান্দার গ্রিলে ঝুলছিল শিশুর লাশ

নাটোর শহরের আলাইপুরে একটি আবাসিক মেস থেকে ইয়াছিন হোসেন (১৩) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে মেসের বারান্দার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ইয়াছিনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। সে নাটোর শহরের আলাইপুরে একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের ১৫ দিন পর এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে নাটোর শহরের আলাইপুরে এক কারখানায় কাজে আসে ইয়াছিন। কিছুদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে যেতে পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ইয়াছিন। কিন্তু, ব্যর্থ হয়। মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গত দুদিন ধরে কান্নাকাটি করছিল শিশুটি। বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সকালে কাজের বুয়া রান্না করতে এসে দেখেন, বারান্দার গ্রিলে ইয়াছিনের মরদেহ ঝুলছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

ইয়াছিনের সহকর্মী স্বপন বলেন, ‘‘বাড়ি যাওয়ার জন্য ইয়াছিন কান্নাকাটি করছিল। তার বাবা-মাকে ফোন করছিল, কিন্তু তারা মোবাইল রিসিভ করেনি। সকালে কাজ থেকে খাবার খেতে মেসে আসি। সবাই ভাত খেলেও ইয়াছিন খায়নি। খাবার শেষে আমরা আবার কাজে চলে যাই। পরে মেসের খালা এসে দেখেন, বারান্দার গ্রিলে তার মরদেহ ঝুলছে।’’

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’

ঢাকা/আরিফুল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ