সাতদিনের মধ্যে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে সময় বেঁধে দিয়েছেন বিএনপি নেতা তাজকিন আহমেদ চিশতী। 

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সাতক্ষীরা পৌরসভায় হাজির এ সময় বেঁধে দেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ‘‘২০২৩ সালে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েও বিগত ফ্যাস্টিট সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেআইনিভাবে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করলে আদালত স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। দীর্ঘ শুনানি অন্তে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈত বেঞ্চ রুলটি নিস্পত্তি করেন।’’  

আইনগতভাবে এখনো নিজেকে মেয়র দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘সরকার পৌরসভায় প্রশাসক বসিয়েছে। আমি সম্মান দেখিয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। সাতদিনের মধ্যে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শাহীন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনা পালানোর পর অন্য ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চাই না। নির্বাচনের কথা বললে তাঁরা সময় লাগবে বলছেন। কত সময় লাগবে? জুন না ডিসেম্বর, পরিষ্কার করে বলুন।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১৭ বছরের ষড়যন্ত্র ছিল একপক্ষীয়। কিন্তু হাসিনা পালানোর পর এখন অন্য ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তেমনটি এখন নেই। কেউ বলছে সংস্কার, কেউ বলছে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব নয়। সংবিধানের জনবিরোধী ধারা নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে সংশোধন করতে হবে। দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, তারা কথা বলতে চায়। একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক অবাধ নির্বাচন সমস্যার সমাধান করতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি ১৫টি বছর দৌড়াতে দৌড়াতে এখানে না আনতে পারতাম, আপনাদের পক্ষে হাসিনাকে তাড়ানো সম্ভব হতো না। যদি ছদ্মবেশে আমার যুবক, আমার স্বেচ্ছাসেবক, আমার ছাত্রদল না ঢুকত।’ তিনি বলেন, ‘এই ছাত্রদের রক্ষা করার জন্য অভিভাবক হয়ে যাঁরা রাস্তায় নামলেন, সেই জনতা আমজনতা নয়, সেই জনতা রাজনীতিসচেতন জনতা।’

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলামের (অমিত) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম (মনা)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম (তুহিন)।

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং পাঁচজন তরুণ সদস্যের ফরম পূরণের মধ্য দিয়ে খুলনা বিভাগীয় সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ