আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই খন্দকার রাহাত গ্রেপ্তার
Published: 22nd, May 2025 GMT
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার রাহাত হোসেনকে (৫৭) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তিনি সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খন্দকার রাহাত সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শেখ পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় মামলা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের সমন্বয়ক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র হ স ন আম
এছাড়াও পড়ুন:
২ কেজির ইলিশ বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়
সারাদেশে ইলিশের দাম নিয়ে যখন হইচই তখন জেলেরা ভুগছেন ইলিশ সংকটে আর ক্রেতারা হতাশ দাম নিয়ে। এ অবস্থায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জামাল মাতুব্বর নামের এক জেলের জালে ধরা পড়লো ২ কেজির এক ইলিশ যা বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়।
রোববার বিকেলে উপজেলার আশাখালী মাছ বাজারে ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটিকে ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন জেলে। মাছটি কেনেন বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম।
জেলে জামাল মাতুব্বর বলেন, গত কালকে সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমে আজকে আবহাওয়া খারাপ হওয়া তীরে চলে এসেছি৷ ইলিশ মাছ কম তবে একটি ইলিশ আমি ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছি। যে কারণে কম মাছ পেলেও খুব ভালো লাগছে। এর চেয়েও বড় ইলিশ সমুদ্রে পাওয়া যায় তবে এখন দাম অনেক হওয়ায় যা দাম এসেছে তাতে পুষিয়ে যায় আমাদের।
বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, গত ১১ জুন ৬০ দিনের অবরোধ শেষ হওয়ার পর কয়েকবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জেলেরা ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছেন না। তবে আজকে জেলে জামাল একটি মাছ প্রায় ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এটা তার জন্য অনেক আনন্দের। মাছটি আমি কিনে ঢাকায় পাঠিয়েছি।
উপজেলার বেশ কয়েকটি মাছের বাজারে কথা বলে জানা যায়, ইলিশ সংকট হওয়ায় তার দাম আকাশচুম্বী। আজকে এক কেজির উপরের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে এক লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৯৫ থেকে ৯৮ হাজার টাকায়, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৬৫ থেকে ৬৮ হাজার টাকায়, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ৬০ দিনের অবরোধ সঠিকভাবে পালন হওয়ায় সাগরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা ঠিকমত মাছ ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে মাছের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে আর দামও নাগালে চলে আসবে।