চট্টগ্রামের ‘সন্ত্রাসী’ ঢাকাইয়া আকবরকে পতেঙ্গা সৈকতে গুলি
Published: 23rd, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের ‘সন্ত্রাসী’ আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে (৪৪) গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে আসা স্বজনদের দাবি, এই ঘটনায় কারাগারে বন্দী ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা জড়িত। এর আগে গত ২৯ মার্চ ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে দুজন মারা যান নগরের বাকলিয়া এলাকায়।
আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে। ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত আকবর ও সরোয়ার।
কারাগারে আটক ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারী ও তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিনকে নিয়ে কটূক্তি করে নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রায়ই ভিডিও দিতেন আকবর। পাশাপাশি সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্নাও আকবরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে নানা ভিডিও দিতেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় রাত আটটার দিকে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন আকবর। ওই সময় হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে আকবরকে লক্ষ্য করে। গুলিতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অস্ত্রধারীরা চলে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ আকবরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ছুটির দিন হওয়ায় সৈকতে লোকজনের ভিড় ছিল বেশি। হঠাৎ গুলির শব্দে সৈকতে বেড়াতে আসা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সৈকতে পুলিশি টহল জোরদার না থাকায় প্রকাশ্যে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে বেড়াতে আসা লোকজনের অভিযোগ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাহমুদা বেগম রাতে প্রথম আলোকে বলেন, পতেঙ্গা সৈকতে একজনকে গুলি করা হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় কারা জড়িত, পুলিশ তা তদন্ত করছে।
গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে গ্রেপ্তার হন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ। এরপর ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডে একটি প্রাইভেট কারকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এতে দুজন নিহত হন। তবে বেঁচে যান কারে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, এলাকায় ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়াসহ পাঁচ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা সরোয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, সরোয়ার কারাগারে আটক থাকলেও তাঁর অনুসারী বেশির ভাগ ‘সন্ত্রাসী’ এখনো ধরা পড়েনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ২২ বোতল মাদকসহ যুবক আটক
খুলনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ২২ বোতল বিশেষ ধরনের মাদকসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) কেএমপির মিডিয়া সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মিডিয়া সেল প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খালিশপুর থানাধীন নুরনগর মেইন রোড সংলগ্ন জনৈক আকবর মুন্সির বাড়িতে অভিযান চালায়।
এসময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. আবুল কালাম সরদারের (৩৫) ঘরের খাটের নিচ থেকে ২২ বোতল কোডিন ফসফেট যুক্ত উইন কোরেক্স উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মো. আবুল কালাম সরদারকে আটক করা হয়। সে বরিশালের নলছিটি উপজেলার ভাঙ্গা দেওলা গ্রামের মৃত আমির আলী সরদারের পুত্র।
কেএমপির মিডিয়া সেলের ইনচার্জ সহকারী পুলিশ কমিশনার খোন্দকার হোসেন আহম্মেদ বলেন, “আটককৃত আবুল কালাম সরদার নগরীর নুরনগর মেইন রোড এলাকার মো. আকবর মুন্সির বাড়িতে ভাড়াটিয়া থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ খুলনা মহানগর এলাকায় মাদকদ্রব্য কোডিন ফসফেট যুক্ত উইন কোরেক্স ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস