খুলনার মহিলা লীগ নেত্রী তন্দ্রা ঢাকায় গ্রেপ্তার
Published: 27th, May 2025 GMT
খুলনা মহিলা আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আলোচিত-সমালোচিত নেত্রী নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা ওরফে নাসরিন পারভেজ তন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৬ মে) খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা বিমানবন্দর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। নাসরিন ইসলাম তন্দ্রাকে খুলনায় নেওয়া হচ্ছে।
কেএমপির গোয়েন্দা শাখা সূত্রে জানা গেছে, তন্দ্রা মালায়েশিয়া থেকে বিমানে করে ঢাকায় এসেছিলেন। আগামী ২৮ মে চট্টগ্রাম থেকে ইতালির ভিসা সংগ্রহ করার কথা ছিল তন্দ্রার। গোপন সংবাদ পেয়ে তা ঢাকা বিমানবন্দর থানাকে জানায় কেএমপির গোয়েন্দা শাখা। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
খুলনার আলোচিত শেখ বাড়িতে নাসরিন ইসলাম তন্দ্রার নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলে সূত্র জানিয়েছে।
কেএমপির গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর তৈমুর ইসলাম জানিয়েছেন, খুলনা থানায় নাসরিন ইসলাম তন্দ্রার বিরুদ্ধে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের মামলা আছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে খুলনায় আনার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।