মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অস্ত্রের মুখে ট্রাকসহ ১৭টি গরু নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তারা ট্রাক চালকসহ তিনজনকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে রাজশাহীর চারঘাটে সড়কের পাশে ফেলে যায়। গরুগুলো কোরবানির হাটের জন্য ব্যাপারীরা দিনাজপুর থেকে অন্য জেলায় নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত ২টার দিকে দাশুড়িয়া-নাটোর-রাজশাহী আঞ্চলিক সড়কের পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি-শেখপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে ডাকাতিটি হয়। 

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.

শরিফুজ্জামান জানান, ডাকাতি হওয়া ট্রাকটি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছে। গরুগুলো এখনো উদ্ধার হয়নি।  

আরো পড়ুন:

ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর

ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত ২টার দিকে দিনাজপুর থেকে আসা একটি গরু বোঝাই ট্রাক ঈশ্বরদীর মুলাডুলি এলাকা অতিক্রমকালে ডাকাতদের কবলে পড়ে। ডাকাতদলে সাত থেকে আটজন সদস্য ছিলেন। তারা আরেকটি ট্রাক দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেয় এবং গরু বোঝাই ট্রাকটি অবরোধ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে ট্রাকচালক, হেলপারসহ তিনজনের হাত-পা ও মুখ বেঁধে অপহরণ করে এবং গরুগুলো লালনশাহ সেতু দিয়ে নিয়ে যায়।

ঈশ্বরদী থানার এসআই শরিফুজ্জামান বলেন, ডাকাতির খবর পাওয়ার পরপরই অভিযান শুরু করা হয়। ভোরে লালনশাহ সেতুর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ডাকাত দল সেতু পার হয়ে ভেড়ামারা অতিক্রম করেছে। এ সময় তাদের আরেকটি ট্রাক লালনশাহ সেতু পার না হয়ে অন্যদিকে চলে যায়। সম্ভবত ওই ট্রাকে চালকসহ জিম্মি তিনজন ছিলেন। রাজশাহীর চারঘাট সড়কের পাশে লুট হওয়া ট্রাকটির চালকসহ তিনজনকে ফেলে রেখে চলে যায় ডাকাতরা। সকালে চালকসহ তিনজন ঈশ্বরদী থানায় এসে ঘটনার বিস্তারিত জানান।

তিনি আরো জানান, ভোরে মোবাইল ফোনে পুলিশ জানতে পারে, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গরু ডাকাতির ট্রাকটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতির বিষয়ে জোর তদন্ত চলছে। ডাকাত গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযানও শুরু হয়েছে। গরু উদ্ধারেরও চেষ্টা চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গর চ লকসহ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যায় আরও ৮ জন গ্রেপ্তার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

মঙ্গলবার সকালে এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জড়িত আটজনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। 

এর আগে ১৩ মে ঘটনার রাতেই শাহবাগ থানার পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিক। অর্থাৎ হত্যায় জড়িত অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

ডিবি সূত্র জানায়, সাম্য হত্যা মামলায় রোববার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে পরদিন রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা হলেন- সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিন। সেদিন সুজন সরকার নামে আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আর রিপন নামে গ্রেপ্তার আরেকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভুল স্বীকার করলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ
  • মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
  • অস্ত্রের মুখে ট্রাকসহ ১৭ গরু নিয়ে গেল ডাকাতরা
  • মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উপদেষ্টার ছবির জায়গায় ছবি দেওয়া নিখোঁজ শিশুটি উদ্ধার
  • যশোরে শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা
  • বেতন না পাওয়ার ক্ষোভে ডাকাতি, জাহাজের প্রকৌশলীসহ আটক ৩: কোস্টগার্ড
  • ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যায় আরও ৮ জন গ্রেপ্তার
  • পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় ১৩ বছর পর এক আসামি গ্রেপ্তার