পরকীয়ার জেরে কবিরাজকে খুন: দেবর-ভাবীর মৃত্যুদণ্ড
Published: 29th, May 2025 GMT
সাত বছর আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে মফিজুর রহমান নামে এক কবিরাজকে ১০ টুকরো করে খুনের দায়ে মোসা. মাকসুদা আক্তার লাকী এবং তার দেবর সালাউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নী এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরো পড়ুন:
ময়মনসিংহে মুক্তিযোদ্ধা ও নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ৪
কথিত পীর আজাদের বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধার, ২ নারী আটক
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের বেউতা গণ কবরস্থানের সামনের ডোবা থেকে হাত, পা ও মাথাবিহীন মানুষের কোমর থেকে গলা পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার এসআই এস এম মেহেদী হাসান ২ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। মফিজুর রহমানের লাশ সনাক্ত করা হয়। এদিকে মফিজুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার পর তার ভাই সাধারণ ডায়েরি করেন।
পুলিশ তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের নাম আসে। তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম জানান, মামলার ভিকটিম একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সার, কীটনাশকের দোকানও ছিল। পাশাপাশি তিনি কবিরাজী করতেন। আসামি লাকীর স্বামী বিদেশে থাকেন। তাদের একটা ছেলে সন্তান রয়েছে। অধিক সন্তানের আশায় তিনি ভিকটিমের কাছে যান। তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামিরা তাকে খুনের পরিকল্পনা করে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভিকটিমকে লাকীর বাসায় দাওয়াত করে। মফিজুর রহমান তার বাসায় যান। গরুর মাংস, চায়ের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে অজ্ঞান করা হয়। পরে তার দেহকে ১০ টুকরা করে এখানে সেখানে ফেলা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর দুই জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা জেলার (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর নাজমুল হাসান। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ঢাকা/এম/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত নায়িকা আরিফা পারভীন মৌসুমী। সোমবার (৩ নভেম্বর) ৫২ বছর বয়স পূর্ণ করলেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ এই দিনে দেশে নেই, সন্তানদের সঙ্গে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মৌসুমী।
মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তার স্বামী ওমর সানী। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে চিত্রনায়ক ওমর সানী কয়েকটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে স্ত্রীকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর
তারকাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
এসব ছবির ক্যাপশনে ওমর সানী লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। দূরে থেকেও আমরা কাছে এটাই বাস্তব, আর যারা আমাদেরকে নিয়ে উল্টাপাল্টা নিউজ করে ওরা হচ্ছে…। শুভ জন্মদিন।”
জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা প্রিয় অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ওমর সানীর এই পোস্টে নেটিজেনদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মৌসুমীকে।
চিত্রনায়িকা মুনমুন লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী, প্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী আপা।” শাহনূর লেখেন, “শুভ জন্মদিন আপু।” আইরিন সুলতানা লেখেন, “শুভ জন্মদিন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন মৌসুমী। তার বাবার নাম নাজমুজ্জামান মনি ও মা শামীমা আখতার জামান। ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌসুমী। এরপর ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যার ওপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিক ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান।
চিত্রনায়িকা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মৌসুমীর অভিষেক ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে। এ সিনেমায় সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। প্রথম সিনেমাতে নিজেদের মেধার জানান দেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনই ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেন। তারপর তিন দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে মেধার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মৌসুমী।
নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
ঢাকা/শান্ত