চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে নগর ও নিম্নাঞ্চল, সমুদ্র উত্তাল
Published: 30th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার সবগুলো উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগর ও বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল। টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড়ধসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে এমন বৈরী আবহাওয়ার কারণে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (৩০ মে) চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা ইসমাইল ভুঁইয়া রাইজিংবিডিকে জানান.
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকায় ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্তত ২টি লাইটার জাহাজ নোঙর ছিড়ে পতেঙ্গায় তীরবর্তী পাথরে আটকে পড়েছে। এছাড়া বহিঃনোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে সব ধরনের পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম জুড়ে মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগর ও বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল। বৃষ্টি আজ শুক্রবারও সারাদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি