সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে রাষ্ট্র ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হবে: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
Published: 1st, June 2025 GMT
সুষ্ঠু ও ভয়মুক্ত নির্বাচন না হলে রাষ্ট্র ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। আগামী নির্বাচন কারচুপি, পেশিশক্তি ও কালোটাকার প্রভাবমুক্ত চায় দলটি।
আজ রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব বিষয় উঠে আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। এ সময় বিভিন্ন সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সেই নির্বাচন কারচুপি, পেশিশক্তি ও কালোটাকার প্রভাবমুক্ত হতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আরও বলেন, জনগণ ২০১৪, ২০১৮ কিংবা ২০২৪ সালের মতো আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চায় না। এমনকি এক-এগারোর মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতিও গ্রহণযোগ্য নয়। যেনতেন নির্বাচন হলে সেটি দেশকে ব্যর্থতার দিকেই ঠেলে দেবে।
বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রিকশা প্রতীকে নির্বাচন করতে আগ্রহী সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি, মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম ও জনপ্রিয়তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এ ছাড়া ২১ জুনের মধ্যে ৩০০টি আসনে দলীয় প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসনাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মাদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব