এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটরদের সার্বক্ষণিক সেবা দিতে বিকাশের সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের চুক্তি
Published: 3rd, June 2025 GMT
দেশব্যাপী মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী এজেন্ট, ডিস্ট্রিবিউটর ও মার্চেন্টদের সার্বক্ষণিক অটোমেটেড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিকাশ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ২৮ মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং বিকাশ–এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন।
এই চুক্তির ফলে এখন থেকে ব্র্যাক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট পরিচালনাকারী বিকাশ এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটররা ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ফান্ড ব্যবহার করে তাঁদের বিকাশ ওয়ালেটের জন্য ই–মানি কিনতে পারবেন এবং যেকোনো সময় ই–মানিকে ব্যাংক ডিপোজিটে রূপান্তর করতে পারবেন। এর ফলে ম্যানুয়াল ক্যাশ হ্যান্ডলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা ও পরিচালনগত ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
এই চুক্তির লক্ষ্য হলো, দেশজুড়ে বিকাশ–এর তিন লাখের বেশি এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটরসমৃদ্ধ বিস্তৃত নেটওয়ার্ককে সেবা দেওয়া।
এই উদ্যোগ ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ট্রানজেকশন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসএমই ব্যাংকিংয়ে উদ্ভাবনের ওপর জোর দেবে। ক্লায়েন্টদের কাছে দেশের সবচেয়ে পছন্দের ট্রানজেকশন ব্যাংক হওয়ার যাত্রায় এই চুক্তি ব্র্যাক ব্যাংকের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
চুক্তিটির বিষয়ে সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আর্থিক লেনদেন ক্রমেই ডিজিটালাইজড হচ্ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রানজেকশন ব্যাংক হিসেবে আমাদেরও গ্রাহক চাহিদার ধরন ও ব্যাপ্তির বিষয়টি মাথায় রেখে ভূমিকা পালন করতে হবে। এই চুক্তি আমাদের ডিজিটাল অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। আমাদের লক্ষ্য হলো, বিজনেসকে সহজ উপায়ে ম্যানুয়াল থেকে অটোমেটেড প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত করতে সহায়তা করা।’
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেন, ‘আমরা একটি ক্যাশলেস ও কানেক্টেড অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি, যাতে এজেন্ট ও বিজনেস দ্রুত, নিরাপদ ও সহজ উপায়ে ফান্ড ব্যবস্থাপনা করতে পারে। ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে ট্রাস্টেড ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনের এই ভিশন বাস্তবায়ন আরও সহজ হবে আমরা বিশ্বাস করি।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১০ লাখ টাকা করে ঋণ পাবেন ১০ হাজার উদ্যোক্তা
দেশে তিন বছরের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশে ১৫ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ প্রতিষ্ঠা, নারী উদ্যোক্তাসহ প্রান্তিক পর্যায়ের সিএমএসএমই খাতের ১০ হাজার উদ্যোক্তাকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হবে।’ অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে ১০ হাজার উদ্যোক্তা ১০ লাখ টাকা করে ঋণ পাবেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব দিয়েছেন। এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, ২৫ হাজার উদ্যোক্তাকে দক্ষতামূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান, বিভাগীয় শহরে এসএমই প্রোডাক্ট ডিসপ্লে ও সেলস সেন্টার বা পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন এবং জেলা শহরে আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করা হবে। নারী উদ্যেক্তাদের প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ৩ হাজার নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে করপোরেট ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এ খাতের অবদান নিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান ছিল প্রায় ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সম্ভাবনাময় এ খাতের বিকাশে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া বাণিজ্যিক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লজিস্টিকস খাতের উন্নয়নসহ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।