দেশব্যাপী মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী এজেন্ট, ডিস্ট্রিবিউটর ও মার্চেন্টদের সার্বক্ষণিক অটোমেটেড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিকাশ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ২৮ মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং বিকাশ–এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন।

এই চুক্তির ফলে এখন থেকে ব্র্যাক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট পরিচালনাকারী বিকাশ এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটররা ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ফান্ড ব্যবহার করে তাঁদের বিকাশ ওয়ালেটের জন্য ই–মানি কিনতে পারবেন এবং যেকোনো সময় ই–মানিকে ব্যাংক ডিপোজিটে রূপান্তর করতে পারবেন। এর ফলে ম্যানুয়াল ক্যাশ হ্যান্ডলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা ও পরিচালনগত ঝুঁকি হ্রাস পাবে।

এই চুক্তির লক্ষ্য হলো, দেশজুড়ে বিকাশ–এর তিন লাখের বেশি এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটরসমৃদ্ধ বিস্তৃত নেটওয়ার্ককে সেবা দেওয়া।

এই উদ্যোগ ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ট্রানজেকশন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসএমই ব্যাংকিংয়ে উদ্ভাবনের ওপর জোর দেবে। ক্লায়েন্টদের কাছে দেশের সবচেয়ে পছন্দের ট্রানজেকশন ব্যাংক হওয়ার যাত্রায় এই চুক্তি ব্র্যাক ব্যাংকের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

চুক্তিটির বিষয়ে সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আর্থিক লেনদেন ক্রমেই ডিজিটালাইজড হচ্ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রানজেকশন ব্যাংক হিসেবে আমাদেরও গ্রাহক চাহিদার ধরন ও ব্যাপ্তির বিষয়টি মাথায় রেখে ভূমিকা পালন করতে হবে। এই চুক্তি আমাদের ডিজিটাল অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। আমাদের লক্ষ্য হলো, বিজনেসকে সহজ উপায়ে ম্যানুয়াল থেকে অটোমেটেড প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত করতে সহায়তা করা।’

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেন, ‘আমরা একটি ক্যাশলেস ও কানেক্টেড অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি, যাতে এজেন্ট ও বিজনেস দ্রুত, নিরাপদ ও সহজ উপায়ে ফান্ড ব্যবস্থাপনা করতে পারে। ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে ট্রাস্টেড ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনের এই ভিশন বাস্তবায়ন আরও সহজ হবে আমরা বিশ্বাস করি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই চ ক ত র লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে  ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।

শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা