নিজ বাড়ির টিনের চালের ওপর পড়ে ছিল দুই দিন ধরে নিখোঁজ তরুণের মরদেহ
Published: 3rd, June 2025 GMT
মাগুরায় নিজ বাড়ির টিনের চালের ওপর পড়ে থাকা এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌরসভার তাঁতিপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত রোববার দিবাগত রাত ১০টার পর থেকে ওই তরুণ নিখোঁজ ছিলেন। নিহত তরুণের পিঠে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত তরুণের নাম আমীন উদ্দিন ওরফে আল আমীন (১৯)। তিনি পৌরসভার তাঁতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য তবিবুর রহমানের ছেলে। আমীন মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত তরুণের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, রোববার রাত ১০টার দিকে ছেলের সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ভাত খাবেন কি না। ছেলে বলেন, ‘আম খাব।’ তখন তাঁকে আম ও ছুরি এগিয়ে দিয়ে তিনি নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে এসে ছেলেকে আর পাননি। তাঁর মুঠোফোন ঘরেই ছিল। এর পর থেকেই খোঁজাখুঁজি চলছিল। আজ দুপুরের পর বাড়ির টিনের চালের ওপর তাঁর লাশ পেলেন।
আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আপনাদের কাছে কিছু চাই না। শুধু আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই। যেন নিজ চোখে দেখে যেতে পারি।’
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার ওই তরুণ নিখোঁজের ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। এর পর থেকে তাঁকে খোঁজাখুঁজি চলছিল। আজ দুপুরের পর পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত তরুণের পরিবার যে বাড়িতে থাকে সেটা একতলা পাকা বাড়ি। এই বাড়ির দেয়াল ঘেঁষেই ছিল তাদের আরেকটি টিনের ঘর। লাশটি ওই টিনের ঘরের চালার ওপর পড়ে ছিল।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র চ ল র ওপর মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে ট্রেন, ছোট্ট আরিফুলের কষ্ট
চট্টগ্রাম নগরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আমিরুল ইসলামের বাড়ি চাঁদপুরে। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি কাটাতে আজ বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি যাচ্ছিলেন। বেলা আড়াইটায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান। চাঁদপুরগামী বিশেষ ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল বেলা ৩টা ২০ মিনিটে। অথচ এটি ছেড়েছে ৪ টা ১২ মিনিটে, প্রায় ১ ঘণ্টা দেরিতে।
বিকেল ৪টার দিকে আমিরুল ইসলাম ট্রেনের একটি বগিতে দাঁড়িয়ে ১৭ মাস বয়সী ছেলে আরিফুল ইসলামকে বাতাস করছিলেন। তাঁর একমাত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে ট্রেনের আসনে বসতে পেরেছেন স্ত্রী। আমিরুল ইসলাম আসন পাননি। ছেলেকে বাতাস করতে করতে এই বাবা বলেন, বগিতে ফ্যান নেই। গরমে ছেলেটা কাহিল হয়ে পড়েছে। ঠিক সময়ে ট্রেন ছাড়লে এত ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
শুধু আমিরুল নয়, দেরিতে ট্রেন ছাড়ার কারণে তার মতো অনেক শিশুকেই ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেল। ট্রেনটির সব বগিতেই গাদাগাদি করে ঘরমুখী যাত্রীরা উঠেছিলেন।
স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ আরাফাত। তিনি চট্টগ্রামের একটি শিপিং প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। থাকেন নগরের ইপিজেড এলাকায়। তাঁর বাড়িও চাঁদপুর সদরে। আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, ঝক্কিঝামেলা এড়াতে ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্টেশনে এসে ভোগান্তি পোহাতে হলো।
স্টেশনে কথা হয় মোজাম্মেল হকের সঙ্গে। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। তাঁর মেয়ের বয়স ৩ বছর। মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী সালমা হক বেশ ভোগান্তিতেই পড়েছিলেন। কোনোভাবেই মেয়েকে ট্রেনের ভেতর রাখা যাচ্ছিল না। পরে কোলে নিয়ে বাবা দাঁড়িয়ে ছিলেন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ফ্যানের নিচে।
চাঁদপুরগামী বিশেষ ট্রেনের প্রতিটি বগিই ছিল যাত্রীতে ঠাসা। আজ বিকেলে চারটায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে