আড়াইহাজারে নছিমন চাপায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত
Published: 13th, June 2025 GMT
আড়াইহাজারে নছিমন চাপায় আলী আকবর (৬৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে উপজেলার উচিৎপুরা-রামচন্দ্রদী সড়কের গহরদী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আলী আকবার উচিৎপুরা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আলী আকবর মাছের ব্যবসা করতেন। ঘটনার সময় ভোরে মাছ আনার জন্য তিনি দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে একটি নছিমন দিয়ে ভুলতার উদ্দেশে রওনা দেন।
গহরদী এলাকায় আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নছিমনটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে আলী আকবর গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। এই সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মূত ঘোষনা করেন।
আড়াইহাজার সরকারি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সুমন দাস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে কোনো আঘাত ছিল না। চাপা পড়ে তিনি মারা যান।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সরাইলে জমিজমার বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার পাকশিমুল বাজারে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পাকশিমুল গ্রামের নুরুল আমীন ও আকবর মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাজারের একাধিক দোকান ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকশিমুল বাজারের ২০ শতাংশ জমির দখল নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে নুরুল আমীনের লোকজনের সঙ্গে আকবর মিয়ার লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। দুই মাস ধরে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। এর জেরে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে সরাইল–অরুয়াইল সড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষ শুরু হলে বাজারের দোকানপাট ও সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করা হয়।
নুরুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি আমাদের কেনা জায়গা। আকবর মিয়ার লোকজন অন্যায়ভাবে আমাদের জমি দখলে নিতে চায়। তারা আজ আমাদের ওপর দা-বল্লম নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাদের লোকজন আত্মরক্ষার জন্য তাদের প্রতিহত করেছে। আমি চোখে আঘাত পেয়েছি। আমার দুই ভাই বল্লমের আঘাত পেয়েছে। গুরুতর আহত আমাদের আটজনকে জেলা সদরে চিকিৎসা দিচ্ছি।’
আকবর মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল আমীন ভূমি অফিসে চাকরি করেন। তিনি প্রতারণা করে জায়গাটি দখলে নিতে চান। তাঁর কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। আজ ওই জায়গা দখলে নিতে গেলে তাঁদের লোকজন বাধা দেন এবং তাঁর (আকবর) লোকজনের ওপর হামলা করেন। এতে নাঈম মিয়া (৩০) নামের এক যুবকসহ আহত সাতজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।