টিওআই-৬৮৯৪ নামের একটি নক্ষত্র পৃথিবী থেকে প্রায় ২৪০ আলোকবর্ষ দূরে লিও তারকামণ্ডলে অবস্থিত। নক্ষত্রটিতে থাকা শনি গ্রহের সমান বিশাল এক গ্রহের সন্ধান পেয়ে চমকে গেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, টিওআই-৬৮৯৪ নক্ষত্রটি সূর্যের ভরের এক–পঞ্চমাংশ ভরের সমান। বড় গ্রহ গঠনের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় সাধারণত ছোট নক্ষত্রে পৃথিবী ও মঙ্গলের মতো ছোট ছোট গ্রহ থাকে। কিন্তু টিওআই-৬৮৯৪ ছোট নক্ষত্র হলেও নক্ষত্রটিকে আবর্তন করা টিওআই-৬৮৯৪বি নামের গ্যাসীয় গ্রহটি দৈত্যাকার।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বিশাল গ্রহটি প্রায় তিন দিনে তার নক্ষত্রকে আবর্তন করছে। গ্রহটি আমাদের সূর্য ও পৃথিবীর তুলনায় নক্ষত্রের প্রায় ৪০ গুণ কাছাকাছি অবস্থিত। কাছাকাছি অবস্থানের জন্য গ্রহটির পৃষ্ঠ বেশ উষ্ণ। আকারে গ্রহটি শনির চেয়ে বড় কিন্তু বৃহস্পতির চেয়ে সামান্য ছোট। ভরের দিক থেকে শনি গ্রহের ৫৬ ভাগ ও বৃহস্পতি গ্রহের ১৭ ভাগ।

নতুন গ্রহটির বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড ব্রায়ান্ট বলেন, ‘এই আবিষ্কার নিয়ে আমি খুব উত্তেজিত। টেস স্যাটেলাইটের তথ্য পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নতুন এই গ্রহের খোঁজ মিলেছে। এই দৈত্যাকার গ্রহ এখন পর্যন্ত জানা সর্বনিম্ন ভরের নক্ষত্রকে অতিক্রম করছে। আমরা আসলে আশা করিনি গ্রহটি এত কম ভরের নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে বিকশিত হবে। এত ছোট নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে কীভাবে এত বড় গ্রহ প্রদক্ষিণ করছে, তা বড় একটি প্রশ্ন।’

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের মুলার্ড স্পেস সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী ভিনসেন্ট ভ্যান আইলেন জানিয়েছেন, ধুলা ও গ্যাসের ছোট মেঘের মধ্যে এমন একটি দৈত্যাকার গ্রহ তৈরি হওয়া কঠিন। বিশাল গ্রহ তৈরির আগে দ্রুতগতির একটি বৃহৎ গ্রহের কেন্দ্র প্রয়োজন হয়। সেই কেন্দ্রে প্রচুর গ্যাস জমা করার পরেই গ্রহের বিকাশ ঘটে। ছোট নক্ষত্রের ক্ষেত্রে বড় গ্রহ তৈরি করার জন্য পর্যাপ্ত ভর থাকে না।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ রহ র গ রহট

এছাড়াও পড়ুন:

জ্বালানি উপদেষ্টা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক কমানোর আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ শুক্রবার এক পোস্টে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।’

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক বা রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। তখন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক ছিল ৩৭ শতাংশ। তিন মাসের জন্য এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক হবে ৩৫ শতাংশ, যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কমাতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। একই আদেশে দেশে আরও কয়েক ডজন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক বসান তিনি।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ