রংপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রে
Published: 14th, June 2025 GMT
রংপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে রেজোয়ানা দিল আফরোজ (২২) নামে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রেজাউল করিম বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
পরিবারের দাবি, প্রায় ৩ বছর আগে রংপুর মহানগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাহিগঞ্জ থানাধীন সরেয়ারতল এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সঙ্গে রেজাউল করিমের মেয়ে রেজোয়ানা দিল আফরোজের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরপক্ষকে ৫ লাখ টাকার উপহার দেওয়া হয়েছিল।
আরো পড়ুন:
ঈদে বেরোবিতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, খোলা থাকবে হল
বেরোবিতে তারুণ্যের ভাবনা ও প্রত্যাশা নিয়ে সেমিনার
বিয়ের পর থেকেই রেজোয়ানা নির্যাতনের শিকার হন। গত ৫ জুন যৌতুকের জন্য স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা মারধর ও নির্যাতন করেন। পরে ৮ জুন বিকেল ৩টার দিকে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও ননদের স্বামী মিলিত হয়ে রেজোয়ানার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা রেজাউল করিমের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় জামাই তার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। শ্বশুর-শাশুড়িরা আগুন নেভাতে না গিয়ে দরজা বন্ধ করে জানিয়ে দেয় তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও ননদের স্বামীকে আসামি করে মামলা করেছেন তিনি।
রেজোয়ানার দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাহিগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস জানান, ঘটনার পর নিহত গৃহবধূর স্বামী, ননদ ও ননদের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি নেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হলেও এখন তদন্ত চলছে।
ঢাকা/আমিরুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ হবধ অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের ছুটি শেষে ব্যাংক খুলেছে, ভিড় নেই তেমন
পবিত্র কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধের পর আজ রোববার দেশের সব ব্যাংক খুলেছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে লেনদেন। তবে সকালে তেমন ভিড় দেখা যায়নি।
রাজধানীর গুলশান ও মতিঝিলের শাখাগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই ব্যাংকে এসেছেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। কোনো কোনো ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে। তবে টানা বন্ধের পর ব্যাংক খুললে যে ধরনের ভিড় হওয়ার কথা, তেমন ভিড় নেই। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
গুলশান ও মতিঝিলের দুটি শাখার ব্যবস্থাপক প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকে এখন নগদ টাকা জমা ও উত্তোলনের বেশি চাপ হয় না। ঈদের আগে নতুন নতুন টাকার জন্য শুধু চাপ হয়। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্যই বেশির ভাগ গ্রাহক ব্যাংকে আসেন। ফলে টানা বন্ধ থাকলে লেনদেনে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একটানা ১০ দিন বন্ধ ছিল। আর্থিক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিকট অতীতে একটানা ১০ দিন ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধের নজির নেই। ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসা–বাণিজ্যেও একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে।
বন্ধের এ সময়ে লেনদেন করতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ সময়ে অনেক গ্রাহক এটিএম থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননি। বেশির ভাগ ব্যাংক তাদের নিজেদের গ্রাহক ছাড়া অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য এটিএম সেবা সীমিত করে দিয়েছিল। এ কারণে এটিএম থেকে অনেকে টাকা তুলতে পারেননি। তবে অনলাইন বা ইন্টারনেটনির্ভর লেনদেন চালু ছিল।