আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।
ডিবি বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা এবং মুজাহিদ নগর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কাফরুল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক আল মামুন, ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম লিংকন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী লুৎফর রহমান ও তুরাগ থানার ৫৩ নম্বর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে বেলায়েত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগ। সেদিন ডিবি মিরপুর বিভাগের একটি দল রাত পৌনে ১২টার দিকে ধানমন্ডি থেকে আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার করে। কাছাকাছি সময়ে মিরপুরের পাইকপাড়া থেকে শফিকুল ইসলাম লিংকনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি রমনা বিভাগ। একই রাতে ডিবি লালবাগ বিভাগ চকবাজার থেকে লুৎফর রহমান এবং ডিবি ওয়ারী বিভাগ দিয়াবাড়ি থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ গ র প ত র কর ল ইসল ম আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করার অনুমতি পেলেন নোবেল
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। নোবেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ইলা মনি।
নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন ও এসআই ইলা মনি প্রথম আলোকে জানান, ধর্ষণ মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আসামি নোবেলের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিতভাবে বিয়ে করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। বাদী ও আসামি উভয় পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে বিয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২০ মে থেকে কারাগারে আছেন গায়ক নোবেল। সেদিন নোবেলের আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেছিলেন, যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী। তিনি ধর্ষণ করেননি।
ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও আদালতে কাবিননামা জমা দিতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন। ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী নোবেল ওই নারীকে বিয়ে করেছেন, এমন কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে জমা দিতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীর কোনো একটি বাসায় ওই নারীর সঙ্গে নোবেলের মৌখিকভাবে বিয়ে পড়ানোর একটি ঘটনা রয়েছে; কিন্তু বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি কাবিননামা নেই।’
ডেমরা থানার পুলিশ আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল, সাত বছর আগে (২০১৮) ফেসবুকে নোবেলের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। তিনি মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসায় থেকে রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর ডেমরায় নোবেলের স্টুডিও দেখানোর জন্য ওই নারীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আটটার দিকে তিনি (নারী) বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেন নোবেল। পরে মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলেন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের সেই ভিডিও ধারণ করেন নোবেল। পরে ভয় দেখিয়ে সাত মাস ধরে ওই বাসায় তাঁকে আটকে রাখা হয়।
পুলিশ আদালতকে আরও জানিয়েছিল, ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর (নারী) মা–বাবা ঢাকায় আসেন। পরে ওই নারীকে নোবেলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরে ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
আরও পড়ুনসেই নারীকে স্ত্রী বলে দাবি নোবেলের, আদালত বললেন কাবিননামা এনেছেন?২০ মে ২০২৫