জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কমিটির তালিকা এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।

এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের স্বাক্ষরিত এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল হুদা জুনেদ প্রথম আলোকে বলেন, এ দুটি কমিটির মেয়াদ রাখা হয়েছে আগামী তিন মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগপর্যন্ত।

সিলেট মহানগর সমন্বয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে ২১ জনকে। এতে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে ব্যবসায়ী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরীকে। তিনি নাগরিক কমিটি সিলেট মহানগরের সদস্য ছিলেন। এতে যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে সাতজনকে। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ নুরুল হক, আদনান তৈয়ব, মুস্তাক আহমদ, কিবরিয়া সারওয়ার, নাঈম শেহজাদ, তারেক আহমেদ বিলাস ও আফজল হোসেন।

মহানগরের সমন্বয় কমিটিতে সদস্য আছেন ১৩ জন। তাঁরা হলেন কামরান জায়গীরদার, অনামিকা দেব, মোহাম্মদ নুরুল আবসার (বদরুল), সুলতান হোসেন মিজান, সাদী জামালী, ফুয়াদ হাসান, সজল আহমদ, নওশাদ আহমদ চৌধুরী, নুরুল হুদা, মামুন রশীদ, জাকির হোসেন, সায়মন সাদিক জুনেদ ও নাজিম উদ্দিন।
যোগাযোগ করলে সদ্যঘোষিত মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কঠিন এক দায়িত্ব পেয়েছি। সবার সহযোগিতায় সংগঠনকে গতিশীল করে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চাই।’

এদিকে জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তা, রোটারিয়ান ও সম্প্রতি গঠিত জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন শাহানকে। তিনি সামাজিক, পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা সিলেট বিভাগের সভাপতিও। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিতে ৬ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ২৪ জন সদস্য রাখা হয়েছে। যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন মেজর (অব.

) মোস্তফা আনওয়ারুল আজিজ, ফয়সল আহমেদ, কামরুল হাসান আরিফ, আবু সাইদ, আহসান জাবুর ও সালমান খুরশেদ।

জেলা কমিটির সদস্যরা হলেন গোলাম আকবর, আয়েশা সিদ্দিকা প্রিয়া, আবু ইউসুফ, সালিম খান, শেখ জাবেদ আহমেদ, মনসুর আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান আতা, কমল রশিদ, আবদুর রহিম, শামসুল ইসলাম, শরীফ আহমদ, হিফজুর রহমান, ইমাম উদ্দিন, শিপন আহমদ শিপু, সিদ্দিকী আবুল আলা, নুরুল ইসলাম, ইবরাহিম নাহির, শামসুজ্জামান হেলাল, সোহেল আহমদ মুসা, গিয়াস উদ্দিন, কারুল হাসান, সুমেল মিয়া, মনিরুল সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান।

যোগযোগ করলে জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দীন শাহান প্রথম আলোকে বলেন, কমিটিতে যোগ্য ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তাঁদের সবার নেতৃত্বে রাজনৈতিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।

এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, কমিটিতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, আইনজীবী, ব্যাংক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সমাজসেবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা ঠাঁই পেয়েছেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের ভাই আহসান জাবুর যুগ্ম সমন্বয়কারী পদে কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য গ ম সমন বয়ক র কম ট র সদস য কর মকর ত য় কম ট র ম হ ম মদ ল ইসল ম কম ট ত এনস প আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাজা শরফুদ্দীন চিশতির মাজারে হাত দিলে পরিণাম হবে ভয়াবহ: আহলে সুন্
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • প্রাথমিকে গানের শিক্ষক বাদ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
  • আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় কর্মসূচি দেওয়া স্ববিরোধিতা মনে করছে বিএনপি