মহানগরে ব্যবসায়ী ও জেলায় ব্যাংক কর্মকর্তা প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বে
Published: 19th, June 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কমিটির তালিকা এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের স্বাক্ষরিত এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল হুদা জুনেদ প্রথম আলোকে বলেন, এ দুটি কমিটির মেয়াদ রাখা হয়েছে আগামী তিন মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগপর্যন্ত।
সিলেট মহানগর সমন্বয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে ২১ জনকে। এতে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে ব্যবসায়ী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরীকে। তিনি নাগরিক কমিটি সিলেট মহানগরের সদস্য ছিলেন। এতে যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে সাতজনকে। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ নুরুল হক, আদনান তৈয়ব, মুস্তাক আহমদ, কিবরিয়া সারওয়ার, নাঈম শেহজাদ, তারেক আহমেদ বিলাস ও আফজল হোসেন।
মহানগরের সমন্বয় কমিটিতে সদস্য আছেন ১৩ জন। তাঁরা হলেন কামরান জায়গীরদার, অনামিকা দেব, মোহাম্মদ নুরুল আবসার (বদরুল), সুলতান হোসেন মিজান, সাদী জামালী, ফুয়াদ হাসান, সজল আহমদ, নওশাদ আহমদ চৌধুরী, নুরুল হুদা, মামুন রশীদ, জাকির হোসেন, সায়মন সাদিক জুনেদ ও নাজিম উদ্দিন।
যোগাযোগ করলে সদ্যঘোষিত মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কঠিন এক দায়িত্ব পেয়েছি। সবার সহযোগিতায় সংগঠনকে গতিশীল করে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চাই।’
এদিকে জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তা, রোটারিয়ান ও সম্প্রতি গঠিত জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন শাহানকে। তিনি সামাজিক, পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা সিলেট বিভাগের সভাপতিও। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিতে ৬ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ২৪ জন সদস্য রাখা হয়েছে। যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন মেজর (অব.
জেলা কমিটির সদস্যরা হলেন গোলাম আকবর, আয়েশা সিদ্দিকা প্রিয়া, আবু ইউসুফ, সালিম খান, শেখ জাবেদ আহমেদ, মনসুর আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান আতা, কমল রশিদ, আবদুর রহিম, শামসুল ইসলাম, শরীফ আহমদ, হিফজুর রহমান, ইমাম উদ্দিন, শিপন আহমদ শিপু, সিদ্দিকী আবুল আলা, নুরুল ইসলাম, ইবরাহিম নাহির, শামসুজ্জামান হেলাল, সোহেল আহমদ মুসা, গিয়াস উদ্দিন, কারুল হাসান, সুমেল মিয়া, মনিরুল সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান।
যোগযোগ করলে জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দীন শাহান প্রথম আলোকে বলেন, কমিটিতে যোগ্য ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তাঁদের সবার নেতৃত্বে রাজনৈতিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, কমিটিতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, আইনজীবী, ব্যাংক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সমাজসেবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা ঠাঁই পেয়েছেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের ভাই আহসান জাবুর যুগ্ম সমন্বয়কারী পদে কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য গ ম সমন বয়ক র কম ট র সদস য কর মকর ত য় কম ট র ম হ ম মদ ল ইসল ম কম ট ত এনস প আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজব্যবস্থা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: সালাহউদ্দিন আহমদ
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ইলেক্টোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণে এ ব্যবস্থাকে আরেকটি ছলচাতুরী হিসেবে দেখা হচ্ছে।’
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকের আলোচনা শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সালহাউদ্দিন আহমদ।
বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ৭০ হাজার স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিকে ভোটার করে নির্বাচন করার প্রস্তাব তাদের কাছে এখনই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে যদি সংসদীয় আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়, তখন তা বিবেচনার বিষয় হতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়টি উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকলে অতীতের অনেক নির্বাচনের অনিয়ম রোধ করা যেত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন থাকলেই নির্বাহী বিভাগ ও সংসদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা সম্ভব।
নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে আইন রয়েছে, সেটি দুর্বল এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে অনুপযুক্ত। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এখন কার্যকর হলেও ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী আইন প্রণয়ন দরকার।
নির্বাচন কমিশনের জবাবদিহি আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিশনারদের অপসারণের বিধান থাকলেও আরও কিছু খুঁটিনাটি আইন তৈরি করতে হবে, যেন মিসকন্ডাক্ট বা অপব্যবহারের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।
এ ছাড়া মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্যও শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও কার্যকর আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
আরও পড়ুনকিছু ভিন্নমতসহ এনসিসির পক্ষে জামায়াত-এনসিপি, বিপক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল৫ ঘণ্টা আগে