এবিবির নতুন চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন
Published: 20th, June 2025 GMT
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন দেশের শীর্ষ ব্যাংকারদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি এবিবির বোর্ড সভায় তাকে সংগঠনটির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তিনি এবিবির আগামী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে এই দায়িত্ব পালন করবেন।
এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করার পর এই সংগঠনের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয় এবং নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে সংগঠনটির বোর্ড সভায় সিটি ব্যাংকের এমডিকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
একই সভায় পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী এবিবির নতুন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
মাসরুর আরেফিন ১৯৯৫ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ৩০ বছরের পেশাগত জীবনে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কাতার, এএনজেড ব্যাংকের মেলবোর্ন হেড অফিস, আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক এন.
মোহাম্মদ আলী ২০০৮ সালে পূবালী ব্যাংকের চিফ টেকনোলজি অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০১৬ সালে তিনি ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ২০২০ সালে অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং পরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে উন্নীত হন। এই ব্যাংকে তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি চিফ অপারেটিং অফিসার, চিফ অ্যান্টি মানিলন্ডারিং অফিসার, চিফ রিস্ক অফিসার এবং ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে পূবালী ব্যাংক মুনাফা ও সুনামের দিক থেকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। এবিবি-তে নতুন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি সংগঠনটির গভর্নিং বডির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করেছেন।
ঢাকা/এনএফ/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গঠনট র নত ন চ অফ স র ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
ভোররাতে রণক্ষেত্র: নরসিংদীতে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৫
নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন পাঁচ জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে এই রণক্ষেত্র তৈরি হয় সদর উপজেলার আলোকবালী এলাকায়।
সংঘর্ষে নিহতের নাম ইদন মিয়া (৫৫)। তিনি সদর উপজেলার মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের তাৎক্ষণিক পরিচয় জানা না গেলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদী থেকে বালু উত্তোলন, জমি দখল এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্ব আরো ঘনীভূত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে এই সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উভয়পক্ষই দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ইদন মিয়াকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্ভাব্য নতুন সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা বা আটকসংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, “ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে। শুনেছি একজন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।”
ঢাকা/হৃদয়/এস