করোনাভাইরাসে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে আরও ২৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ইউসুফ হোসেন (৪২) বুধবার রাত ১২টার দিকে মারা যান। মৃত্যুর দুই ঘণ্টা আগে তার করোনা শনাক্ত হয়। কিডনিজনিত ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। তার বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামে। এর আগে বুধবার ভোরে একই হাসপাতালে আরেক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।

এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা.

আমিনুল ইসলাম কটন জানান, চিকিৎসাধীন মনসুর রহমান (৬৫) করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তবে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।  নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তে হার ৭.৩১ শতাংশ। নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, কুমিল্লায় ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, কক্সবাজার, খুলনা, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরায় একজন করে রয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৮৭ জনের। এ সময়ে মারা গেছেন ৭ জন। এর মধ্যে পাঁচজন নারী ও দু’জন পুরুষ। ঢাকায় চিকিৎসাধীন মারা গেছেন পাঁচজন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন করে মারা গেছেন।

এ ছাড়া র্যা পিড অ্যান্টিজেন কিট সংকটের কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ দুপুর ১টার দিকে কিট শেষ হয়ে গেলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

এ বিষয়ে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম গাজী বলেন, ১৬৮টি কিট আছে। ২-৩ দিনের মধ্যে এই কিট ফুরিয়ে যাবে। দ্রুত কিট না পেলে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় প্রতিনিধিরা)

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ন পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীর রাজনীতি না করার ঘোষণা

রাজনীতি না করার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সাবেক মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজা। শনিবার (২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।

রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরো হলো।

“রাজনীতির অঙ্গনে কখনো শূন্যস্থান দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কেউ একটি পথ থেকে সরে দাঁড়ালে তার স্থানে কেউ না কেউ এসে দাঁড়ায় হয়তো আরও যোগ্য, আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একজন। আজ আমি, ফাতেমা খানম লিজা, আনুষ্ঠানিকভাবে জানাচ্ছি যে, আমি এই রাজনৈতিক পথ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমার পরে কেউ না কেউ এই পথ চলবে তবে বিশেষ করে চট্টগ্রামের নারী রাজনীতিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

আরো পড়ুন:

ছাত্রদল-এনসিপির সমাবেশ রবিবার: যান চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা

ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচার হলে পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

এই শহরে যদি কোনো নারী রাজনীতির মাঠে আসতে চায়, আমি জানি না, তার ভাগ্যে কী অপেক্ষা করে আছে। আমি ভয় পাই তাকে কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের দলীয় মানুষদের মধ্য থেকেও সহিংসতা, হেয় করা, অপমান বা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হতে পারে। এই অভিজ্ঞতা আমি নিজেও অজস্রবার অনুভব করেছি।

আমি যে উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলাম, হয়তো তার সবটুকু পূরণ করতে পারিনি। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের সাথে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। শহীদদের প্রতি আমি আজও অবিচল শ্রদ্ধাশীল। আমি গর্ব করে বলতে পারি আমার অবস্থান ছিল স্বচ্ছ, অন্তরের ভেতরেও, চেতনার গভীরেও।  আমি জানি, রাজনীতি কেবল আবেগ দিয়ে চলে না। কিন্তু একজন নারী যখন সমস্ত বাধা, সামাজিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা ও অপমান উপেক্ষা করে রাজনীতির ময়দানে আসে তখন যদি তার দলীয় ভাইয়েরাই তাকে হেয় করে, নোংরামি করে, তবে সেই জায়গায় তার জন্য রাজনীতি করার পরিবেশ থাকে না। আর এটাই সবচেয়ে বেদনার। হয়তো আজকের পর আর কেউ আমাকে রাজনীতির ময়দানে দেখবে না। আমি নিজেও আর ফিরে আসবো না যতদিন না দেশের প্রয়োজন পড়ে, যতদিন না আবার কোনো রক্তিম জুলাই ডাক দেয়। যদি আবার এই মাতৃভূমি আমাকে ডাকে, যদি রাজপথ আমাকে প্রয়োজন মনে করে, আমি আবারো ফিরে আসবো। নিজের সুখের সময় না হোক, দেশের দুঃসময়ে আমি পাশে দাঁড়াবো এটা আমার অঙ্গীকার।

ফাতেমা খানম লিজার ফেসবুক পোস্ট

আমি আশা করবো, চট্টগ্রামের রাজনীতিতে যেন আবার সুষ্ঠু ধারা ফিরে আসে। যারা নারীদের অসম্মান করে, রাজনীতিকে নোংরা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করে তাদের যেন বিচার হয়, তাদের মুখোশ একদিন খুলে পড়ে।

আমি বিদায় নিচ্ছি কিন্তু একজন নাগরিক, একজন নারী, একজন সংগ্রামী হিসেবে নয়। আমি শুধু দলীয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। দেশের জন্য ভালোবাসা, মানুষের জন্য দায়বদ্ধতা এগুলো কখনো থামে না।

ফাতেমা খানম লিজা
(একজন নারী, যিনি জুলাইয়ের রক্তাক্ত ইতিহাসে নিজের স্বচ্ছতাকে প্রমাণ করেছি)।”

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বাস্থ্যে সংস্কারের উদ্যোগ চোখে পড়ছে না
  • ‘আমি যৌবনের পিছনে ছুটছি না, সত্যকে আলিঙ্গন করছি’
  • হাজার হাজার মানুষকে মারার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা: ট্রাইব্যুনালে প্রথম সাক্ষী
  • রাবি প্রোভিসির ফেসবুক স্টোরি, শিক্ষক নিয়োগে জামায়াত নেতার সুপারিশ
  • শিক্ষক নিয়োগে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্যের সুপারিশ সহ–উপাচার্যের ফেসবুকে
  • ট্রাম্পের পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের পরও নিশ্চুপ কেন রাশিয়া
  • ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ সদস্য, সাবেক সেনাসদস্যসহ গ্রেপ্তার ৯
  • পদ্মা সেতুর ঢালে বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত
  • ডিজিটাল মেশিনে ওজন নিন
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীর রাজনীতি না করার ঘোষণা