করোনায় যশোরে আরেকজনের মৃত্যু, সারাদেশে ২৮ জন শনাক্ত
Published: 19th, June 2025 GMT
করোনাভাইরাসে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে আরও ২৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ইউসুফ হোসেন (৪২) বুধবার রাত ১২টার দিকে মারা যান। মৃত্যুর দুই ঘণ্টা আগে তার করোনা শনাক্ত হয়। কিডনিজনিত ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। তার বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামে। এর আগে বুধবার ভোরে একই হাসপাতালে আরেক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা.
অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তে হার ৭.৩১ শতাংশ। নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, কুমিল্লায় ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, কক্সবাজার, খুলনা, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরায় একজন করে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৮৭ জনের। এ সময়ে মারা গেছেন ৭ জন। এর মধ্যে পাঁচজন নারী ও দু’জন পুরুষ। ঢাকায় চিকিৎসাধীন মারা গেছেন পাঁচজন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন করে মারা গেছেন।
এ ছাড়া র্যা পিড অ্যান্টিজেন কিট সংকটের কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ দুপুর ১টার দিকে কিট শেষ হয়ে গেলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম গাজী বলেন, ১৬৮টি কিট আছে। ২-৩ দিনের মধ্যে এই কিট ফুরিয়ে যাবে। দ্রুত কিট না পেলে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় প্রতিনিধিরা)
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশ থেকে ফেরার সময় বিনা শুল্কে মোবাইল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ-টিভিসহ ১৯টি পণ্য আনতে পারবেন
বিদেশ থেকে আসার সময় যাত্রীরা নিজের ছেলেমেয়ে, স্ত্রী, মা-বাবাসহ আত্মীয়স্বজনের জন্য নানা ধরনের উপহারসামগ্রী আনেন। আবার গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও নিয়ে আসেন তাঁরা। এ জন্য সরকার ব্যাগেজ রুল সুবিধা দেয়।
১৯ ধরনের পণ্য বিনা শুল্কে এবং ১১ ধরনের পণ্য শুল্ক–কর পরিশোধ করে আনা যায়। এ জন্য কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে না। ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে ফেরার সময় আনা যাবে ওই সব পণ্য।
সরকার দু-এক বছর পর পর ব্যাগেজ রুলে পরিবর্তন আনে। এবারের বাজেটেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বিনা শুল্কে যা আনা যাবে১২ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সী একজন যাত্রী ৬৫ কেজি ওজনের ব্যাগেজ শুল্ক-কর ছাড়া খালাস করতে পারবেন। তবে ১২ বছরের নিচের বয়সী যাত্রী ৪০ কেজি ব্যাগেজ বিনা শুল্কে খালাস করতে পারবে।
বিনা শুল্কে যে ১৯ ধরনের পণ্য আনা যাবে। এ পণ্যের তালিকায় আছে দুটি ব্যবহৃত মুঠোফোন; একটি নতুন মোবাইল ফোন; ১৫ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট কার্পেট; ২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন; ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ; কম্পিউটার স্ক্যানার; প্রিন্টার; ভিডিও ক্যামেরা; স্টিল বা ডিজিটাল ক্যামেরা; ওভেন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন; রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, গ্যাস ওভেন; টোস্টার, স্যান্ডউইচ মেকার, ব্লেন্ডার, ফুড প্রসেসর, জুসার, কফি মেকার; সেলাই মেশিন; টেবিল ফ্যান; ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য খেলার সামগ্রী; ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না; এক কার্টন সিগারেট; সিডি ও স্পিকারসহ মিউজিক সিস্টেম।
শুল্ক-কর পরিশোধ করে যে ১১ ধরনের পণ্য আনা যাবে। এগুলো হলো ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার। এ জন্য ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর দিতে হবে। এ ছাড়া ২৩৪ গ্রাম বা ২০ তোলা রৌপ্যবার; ৩০ ইঞ্চি ও তদূর্ধ্ব টেলিভিশন; হোম থিয়েটার; রেফ্রিজারেটর ও ডিপ ফ্রিজার; এয়ারকন্ডিশনার; ডিশ অ্যানটেনা; এইচডি ক্যামেরা; ঝাড়বাতি; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে এয়ারগান; ডিশওয়াশার বা ওয়াশিং মেশিন বা ক্লথ ড্রায়ার আনা যাবে। এসব পণ্যে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয়।
এবার যত পরিবর্তনএবারের বাজেটে বিদেশ থেকে ফেরার সময় বছরে একবার সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম ওজনের একটি করে সোনার বার আনতে পারবেন। সোনার বার আনার ক্ষেত্রে প্রতি ভরিতে (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) শুল্ক ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগে একজন যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় যতবার খুশি ততবার ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না বিনা শুল্কে আনতে পারতেন। এখন থেকে একজন যাত্রী বছরে মোট ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না বিনা শুল্কে আনতে পারবেন। বিদেশফেরত একজন যাত্রী দুটি ব্যবহৃত মুঠোফোন ও প্রতিবছর একবারই একটি নতুন মুঠোফোন শুল্ক-কর পরিশোধ ছাড়া আনতে পারবেন।