বড় টুর্নামেন্টের মাহাত্ম্য ও সৌন্দর্য তো এখানেই! আন্ডারডগ যেখানে স্তব্ধ করে দেয় পরাশক্তিকে। ছোট্ট একটি ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় পাহাড়ের ভিতও।

ক্যালিফোর্নিয়ার রোজ বোলেও আজ তেমনটাই হলো। বাংলাদেশ সময় সকালে এ ম্যাচ শুরুর আগে কেউ যদি বোতাফোগোর কাছে পিএসজি হারের কথা বলতেন, তবে তা দিবাস্বপ্নই মনে হতো। পিএসজি ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট চ্যাম্পিয়নস লিগসহ ‘ট্রেবল’জয়ী দল। দলে তারকার ছড়াছড়ি। এর চেয়েও বড় বিষয়, পিএসজির সাম্প্রতিক ছন্দ।

লুইস এনরিকের অধীনে নান্দনিক ফুটবল পসরা সাজিয়েছে বসেছে ফরাসি ক্লাবটি। যদিও সেটা শুধু ফুটবল রোমান্টিকদের কাছে। প্রতিপক্ষের কাছে প্যারিসের ক্লাবটির খেলাকে নির্মমই মনে হবে। কতটা নির্মম, সেটা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলানকে জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে।

সেদিন মিলানকে ৫-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল পিএসজি। এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বোতাফোগো যতই দক্ষিণ আমেরিকান শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক কোপা লিবের্তাদোরেস চ্যাম্পিয়ন হোক, তবু তাদের একটু পিছিয়েই রেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু ফুটবলের সুন্দর সব গল্প তো ট্রেন্ড ভাঙার মধ্য দিয়েই লেখা হয়। লেখা হয় পরাশক্তির পতনের মধ্য দিয়েও।

আরও পড়ুনবাঁ পায়ের ‘তুলি’তে মায়ামির ইতিহাস লিখলেন মেসি ২ ঘণ্টা আগে

আজ সকালেও লেখা হলো তেমন এক গল্প। বোতাফোগোর অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গেছে ইউরোপসেরা পিএসজি। ৩৬ মিনিটে স্ট্রাইকার ইগর জেসোসের করা একমাত্র গোলটিই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের পার্থক্য। সতীর্থ জেফারসন সাভারিনোর দারুণ এক পাস ধরে গোলটি করেন জেসুস যা বোতাফোগোর ১-০ গোলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রথম দল হিসেবে তাদের শেষ ষোলোতেও পৌঁছে দিয়েছে। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিয়াটল সাউন্ডার্সকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। ফলে ২ ম্যাচ ৬ পয়েন্ট নিয়ে পৌঁছে গেছে নকআউট পর্বে।

ম্যাচে অবশ্য গোল করা আর লক্ষ্যে শট নেওয়া ছাড়া ইতিবাচকভাবে আর কোনো দিক থেকেই পিএসজির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। ৭৫ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৬ শট নিয়ে মাত্র ২টি লক্ষ্যে রাখে পিএসজি। অন্য দিকে ২৫ শতাংশ বলের দখল রেখে বোতাফোগো ৪টি শট নিলেও প্রতিটিই ছিল লক্ষ্যে।

আজ বোতাফোগোর উল্লাসে মাতার দিন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সেতারা বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

শুক্রবার (২০ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম। তবে, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি।  

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতের কোনো এক সময়ে সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর গ্রামের ওসমান আলী হাজীর বাড়িতে ওই বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়।

নিহত সেতারা বেগম ওই এলাকার মৃত মোফাজ্জল হকের স্ত্রী। তিনি পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সেতারা তার এক ছেলের সঙ্গে সোনাইমুড়ী পৌরসভা এলাকায় বাস করতেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাড়ির লোকজন কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় সেতারার ঘরে যান এবং ভেতরে তার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন গিয়ে দেখেন, টিনশেড ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সেতারা বেগমকে হত্যা করেছে কে বা কারা।  

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে সিঁধ কেটে ওই নারীর ঘরে ঢোকে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। ক্রাইমসিন ইউনিট ও সিআইডির আলামত সংগ্রহ শেষ হলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

ঢাকা/সুজন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ