দেশ ছাড়লেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান এই অভিনেত্রী। গতকাল সন্ধ্যায় নিউ ইর্য়ক থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মাহি।
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মাহিয়া মাহি বলেন, “ভিসা পাওয়ার পর আর আসা হয়নি যুক্তরাষ্ট্রে। সময় বের করে আজ এলাম।” দেশ ছেড়ে চলে গেলেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, “আমার বাচ্চা দেশে আছে। নিউ ইয়র্ক ও আশপাশে ঘুরে দেশে ফিরে যাব।”
তাছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক পৌঁছেই নিজের ফেসবুকে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে দেশ ছাড়ার বিষয়টি জানান মাহি। ওই পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, “ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায়।” চেকইন দেন নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
আরো পড়ুন:
আমি এভাবেই নেচে নেচে ফটোশুট করি: মাহি
ফেসবুকে সক্রিয়, পাওয়া যাচ্ছে না মাহির খোঁজ
‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে পা রাখেন মাহিয়া মাহি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজের জায়গা করে নেন। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন মাহি।
২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন মাহি। ২০২১ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রকিব সরকার নামে গাজীপুরের এক স্থানীয় রাজনীতিককে বিয়ে করেন মাহি। এ সংসারে জন্ম নেয় ছেলে ফারিশ। বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সংসারও।
অনেক দিন ধরে চলচ্চিত্রে অনুপস্থিত মাহি। তাকে সর্বশেষ অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে ‘রাজকুমার’ সিনেমায়। তাতে শাকিব খানের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
মাউশির সামনে দ্বিতীয়দিনের মত অবস্থান নিয়োগপ্রত্যাশীদের
সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন চার-পাঁচ বছর আগে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাও শেষ বহু আগেই। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত ফল না পেয়ে দিশেহারা নিয়োগপ্রত্যাশীরা। তাই দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন প্রদর্শক, গবেষণা সহকারী (কলেজ), ল্যাবরেটরি সহকারী এবং সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদের নিয়োগপ্রত্যাশীরা। আজ বুধবার সকালেও মাউশির প্রধান ফটকের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান করতে দেখা গেছে তাদের।
অনশনকারীদের একজন সাদ্দাম হোসেন সমকালকে বলেন, ২০২১ সালে পরীক্ষা দিয়েছি, এখন ২০২৫—এই চার বছরে কত কিছু পাল্টে গেছে, শুধু আমাদের অবস্থানই বদলায়নি। শুধু একটা ফলাফলের অপেক্ষায় জীবনটা আটকে গেছে।
প্রদর্শক পদে আবেদন করা সুমাইয়া আফরিন বলেন, আমার বাবা নেই। সংসার আমার ওপর নির্ভরশীল। ভাইভা শেষ হয়েছে প্রায় এক বছর, অথচ আজও কোনো ফল নেই। মানসিকভাবে আমরা ভেঙে পড়ছি।
অবশ্য, দ্রুত ফল প্রকাশের দাবি জানিয়ে এরইমধ্যে আন্দোলনকারীরা লিখিতভাবেও মাউশিতে আবেদন জানিয়েছেন। তবে কোন সাড়া মেলেনি। তাই প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০২০ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০২১ সালে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ বিলম্বে ২০২৪ সালের এপ্রিলে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় এবং মে-জুনে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এখন ২০২৫ সালের জুন—কিন্তু এখনও কোনো চূড়ান্ত ফল নেই। এতে চাকরির বয়সসীমা পার হওয়ার শঙ্কায়ও পড়েছেন অনেকেই।
এর আগে, আজ সকাল থেকে চাকরিপ্রত্যাশীরা মাউশি ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানান চূড়ান্ত ফল প্রকাশের। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস বা পদক্ষেপ না পেয়ে দুপুর থেকে তারা আমরণ অনশনে বসেন। পরে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে অনশনরত এক ফলপ্রত্যাশী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানান।
এসময় তারা অভিযোগ করেন, গত চার বছরে বিভিন্ন সময় মাউশির তৎকালীন মহাপরিচালক, কলেজ প্রশাসন ও উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর বা সমাধান পাওয়া যায়নি। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ নিয়ে বছরের পর বছর ঝুলে থাকার কারণে অনেকের বয়স এখন চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। তাই প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।