ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী শ্রীলীলা। ২০১৯ সালে ‘কিস’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। তবে ২০২১ সালে ‘পেলি সানড়া ডি’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন রোশান মেকা।
৮ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ২০ কোটি রুপি। সিনেমাটির জন্য ৫ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন শ্রীলীলা। কিন্তু কয়েক বছরের ব্যবধানে বেড়ে যায় তার চাহিদা, বৃদ্ধি পায় তার পারিশ্রমিকও। গত বছর শ্রীলীলা একটি সিনেমার জন্য ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন। একই বছর একদফা পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করেন। এবার দ্বিগুণ পারিশ্রমিক চাইছেন এই অভিনেত্রী।
সিয়াসাতের তথ্য অনুসারে, পারিশ্রমিক দ্বিগুণ করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তেলেগু সিনেমার অভিনেত্রী শ্রীলীলা। এর আগে সাড়ে ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিতেন। এই তারকা এখন তার পরবর্তী প্রকল্পগুলোর জন্য ৭ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি) পারিশ্রমিক দাবি করছেন।
আরো পড়ুন:
প্রাক্তন অভিনেত্রী সানা খানের মা মারা গেছেন
কুবেরা: কে কত কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?
বহুল আলোচিত সিনেমা ‘পুষ্পা’। এ সিনেমার দ্বিতীয় পার্টের আইটেম গানে পারফর্ম করেন শ্রীলীলা। গানটি মুক্তির পর দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। তবে শ্রীলীলা তার পারফরম্যান্সের জন্য প্রশংসা কুড়ান। আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্প টু’ সিনেমার আইটেম গানের জন্য শ্রীলীলা ২ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন।
শ্রীলীলার হাতে বর্তমানে বেশ কটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এর মধ্যে তেলেগু ভাষার ‘জুনিয়র’, ‘ম্যাস যাত্রা’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন। হিন্দি ভাষার ‘আশিকি থ্রি’, তামিল ভাষার ‘পরাশক্তি’, তেলেগু ভাষার ‘ওস্তাদ ভগত সিং’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তেলেগু ভাষার ‘লেনিন’ সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
২০০১ সালের ১৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে জন্মগ্রহণ করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীলীলা। সেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন তিনি। পরবর্তীতে ভারতে ফিরে বড় পর্দায় নাম লেখান শ্রীলীলা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।