দেড় যুগের বেশি সময় মঞ্চে অভিনয় করে বড় পর্দায় নাম লেখান শরীফ সিরাজ। চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পর বুঝতে পারেন, এফডিসি ঘরানার সিনেমা নিয়ে অনেকেরই নাক সিঁটকানো ভাব, কেউ কেউ ছোট করেও দেখেন, এমনকি এফডিসির সিনেমা নিয়ে নেতিবাচক কথাও শুনতে হয়েছে। কেউ কেউ সরাসরি এফডিসির সিনেমায় না জড়িয়ে নাটক থেকে আসা নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন।
এফডিসির কাজে অভিজ্ঞতা
এফডিসি ঘরানা বলে কাজটাকে কেন আলাদা করা হয়, দীর্ঘ সময় এটাই বুঝে উঠতে পারতেন না শরীফ। ‘পরে কাজ করে যতটুকু বুঝেছি, এফডিসি ঘরানার কাজগুলোর বেশির ভাগ কলাকুশলী এফডিসির থাকেন। আবার নাটক থেকে উঠে আসা নির্মাতাদের সঙ্গে বেশির ভাগ কাজ করেন নাট্যাঙ্গনের শিল্পী–কলাকুশলীরা। ওটিটিতে আবার দুই ঘরানার মিশ্রণ। সব ধরনের টিমের সঙ্গেই কাজ করেছি। সবাই ভালো। বিশেষ করে বলব, এফডিসির আলাদা একটা জায়গা রয়েছে। এখানে পেশাগত জায়গাটা যেমন আলাদা, তেমনি পেশাদারিটাও বেশি। কীভাবে শিল্পীদের সম্মান করতে হয়, তারা সেটা বেশি জানে। এফডিসি নিয়ে আমার মধ্যে নেতিবাচক কিছু নেই। সবার সঙ্গে কাজ করেই আমি স্বাচ্ছন্দ্য,’ বলেন শরীফ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াশিংটনে আলোচনার পর শুল্ক কমতে পারে, আশা অর্থ উপদেষ্টার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পরে শুল্ক কমে আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক এখনো চূড়ান্ত নয়, ওয়ান-টু-ওয়ান আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা ৩ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। আজই বাংলাদেশের কমার্স টিমও রওনা দিচ্ছে। আগামীকাল সকালে বৈঠক। বৈঠকের পর বোঝা যাবে বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে।”
তিনি আরো বলেন, “এই যে প্রেসিডেন্টের চিঠি এসেছে, এটি এখনো অফিসিয়ালভাবে চূড়ান্ত নয়। ওয়ান-টু-ওয়ান আলোচনা হবে, তারপরই সিদ্ধান্ত হবে। এটি শুধু আমাদের নয়, ১৪টি দেশকে একই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনায় বাংলাদেশের মাত্র ২ শতাংশ শুল্ক হ্রাস পাওয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি— ১২৫ বিলিয়ন ডলার, যেখানে আমাদের মাত্র ৫ বিলিয়ন। তাই তারা বেশি ছাড় পেয়েছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যুক্তি দেখিয়ে কম শুল্ক আদায়ে সফল হওয়া।”
তিনি আরো জানান, ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা মোটামুটি ইতিবাচক ছিল বলে জানা গেছে। আগামীকালকের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন নেতৃত্ব দেবেন।
চিঠিতে উল্লিখিত শর্তগুলো পূরণ করা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা সরাসরি মন্তব্য না করলেও বলেন, আলোচনা শেষে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
রাজস্ব আদায় প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আহরণ মোটামুটি সন্তোষজনক। আগামী বছর শুধু ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়িয়ে নয়, পুরো সিস্টেম পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমাদের ট্যাক্স ক্যাপাসিটি ভালো, কিন্তু তা এখনো পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি।”
ঢাকা/ হাসনাত/ইভা