জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলার অভিযোগে নোবিপ্রবি কর্মকর্তা আটক
Published: 10th, July 2025 GMT
গত বছর জুলাইয়ে চলাকালীন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি হামলার অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা হলেন, নোবিপ্রবির আইন বিভাগের সেকশন অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা মামুনকে তার কর্মস্থল থেকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবিতে জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
শিক্ষার্থীদের ৪টি কাউন্সিল গঠন করা হবে: নোবিপ্রবি উপাচার্য
মামুন জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মালেক মেম্বারের ছেলে এবং আত্মগোপনে থাকা বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী ছিলেন।
ছাত্ররা অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনে আবদুল্লাহ আল মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দেশীয় অস্ত্র হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। বুধবার ওই ঘটনার ছবি-ভিডিও প্রকাশ হলে তাকে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয় ।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আভিযোগ তদন্তের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে নোবিপ্রবি থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সুজন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক অভ য গ কর মকর ত ন ব প রব আবদ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি স্থগিত
নরসিংদী সদর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন নজরপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে দলীয় কার্যালয় চিনিশপুর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ নজরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
নরসিংদী সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. মো. তোফাজ্জল হোসেন (টবু) এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম নিশ্চিত করতে এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নজরপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গুরুতর সাংগঠনিক অনিয়ম ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি এরইমধ্যে জেলা বিএনপিকেও অবহিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে উপজেলা বিএনপি সূত্র।
নরসিংদী সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. মো. তোফাজ্জল হোসেন (টবু) বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠন, যেখানে শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়। দলের ভেতরে কোনো অভিযোগ উঠলে সেটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। নজরপুর ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা এমনই একটি অবস্থানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কোনো রকম ব্যক্তিগত অভিপ্রায় নয়, বরং দলীয় শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা রক্ষার্থেই আমরা কমিটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।”
ঢাকা/হৃদয়/এস