কুয়েটে অচলাবস্থার ১৬০ দিন, ক্লাস শুরু মঙ্গলবার
Published: 28th, July 2025 GMT
টানা ৫ মাস ১০ দিন পর অবশেষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তাদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেন। এরপর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী ক্লাস শুরুর নির্দেশ দেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
রাকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ১৫ সেপ্টেম্বর
উত্তরাঞ্চলের জন্য কাঙ্ক্ষিত বাজেট চেয়ে সড়ক অবরোধ, আল্টিমেটাম
এর আগে গত দুইদিন ধরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সাধারণ শিক্ষার্থী, আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর ক্লাস ও পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা পেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেন বলেন, “উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। প্রশাসন ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিলে শিক্ষকরা যোগ দেবে।”
ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক আহত হন। ওই রাতেই হামলাকারীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। এরপর শিক্ষকরা আর ক্লাসে ফেরেননি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এই ঘটনার জেরে সৃষ্ট আন্দোলনের মুখে ২৬ এপ্রিল তৎকালীন উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে অপসারণ করা হয়।
এরপর ১ মে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) অধ্যাপক হজরত আলীকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচারের দাবিতে শিক্ষক সমিতি একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে। শিক্ষকদের বিরোধিতার মুখে ২২ মে অধ্যাপক হজরত আলী পদত্যাগ করেন।
অবশেষে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর অচলাবস্থা নিরসন হলো।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন উপাচার্যের যোগদানে কুয়েটে অচলাবস্থা নিরসনের প্রত্যাশা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) প্রায় ৫ মাস ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় চলছে অচলাবস্থা। এ অবস্থায় যোগ দিয়েছেন নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক প্রজ্ঞাপনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এর পরদিনই খুলনায় এসে দায়িত্ব গ্রহণ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) জ্যেষ্ঠ এই অধ্যাপক বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সংকট নিরসনের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
আরো পড়ুন:
হুমকি দেওয়া নিয়ে ইবিতে সহ-সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ডিপিপির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত ৫ মাসে কুয়েট লেখাপড়ায় দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিছিয়ে পড়েছে। গত মার্চে ১৯ ব্যাচের শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার কথা ছিল। তারা এখন হতাশ। তাদের অভিভাবকরা আক্ষেপে দিন কাটাচ্ছেন।
নতুন উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “দায়িত্ব নিয়েই সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা নিরসনের বিষয়ে সবার বক্তব্য শুনছি, পরামর্শ নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শৃঙ্খলা, একাডেমিক পরিবেশ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সবার মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “ডিনদের মধ্যে বৈঠকের পর পার্শ্ববর্তী তিন থানার ওসির সঙ্গে বৈঠক করেছি। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গেও কথা বলব। দ্রুত ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল ও বহিরাগতদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক আহত হন। ওই রাতেই হামলাকারীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। এরপর শিক্ষকরা আর ক্লাসে ফেরেননি।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী