জকসুর রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তি দাবি শিক্ষার্থীদের
Published: 30th, July 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জবি শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়।
এতে ছাত্রশিবির, ছাত্রফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, আপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দুই কার্যদিবসের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেন।
আরো পড়ুন:
৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী
নতুনবাজারের সেই রনির বুলেটের যন্ত্রণা আজো থামেনি
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ১ বছরে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এই প্রশাসন আমরা এনেছি। কিন্তু যদি তারা আমাদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়, আমরা তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হবো। হচ্ছে, হবে, প্রসেসিংয়ে আছে—এ ধরনের কথা আর মেনে নেওয়া হবে না।
ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী বিএম আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, “কোনো অছাত্র বা বয়োবৃদ্ধ দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। ছাত্রত্ব যাদের আছে, তারাই নির্বাচনে অংশ নেবে। পাশাপাশি দ্রুত আবাসন ভাতা প্রদানেরও ব্যবস্থা করতে হবে।”
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও একটি ক্যাফেটেরিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি প্রশাসন। আমাদের এই প্রশাসন কাজ করতে না পারলে তাদের চলে যেতে হবে।”
আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা বলেন, “৫ আগস্টের আন্দোলনের পর ভেবেছিলাম আলাদা করে কিছু চাইতে হবে না। কিন্তু সেই আদায় করা দাবি আজো বাস্তবায়িত হয়নি। ১ বছর পেরিয়েও শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারেনি। দাবি পূরণে পদক্ষেপ না নিলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।”
ছাত্র অধিকার শাখার সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম এই প্রশাসন দ্রুত জকসুসহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু গত ১ বছরে তারা কেবল জকসু নীতিমালাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে পেরেছে। নীতিমালা অনুবাদ করতেই এক বছর লেগেছে; তাহলে নির্বাচনের আয়োজন করতে কত সময় লাগবে?”
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো.
ছাত্র অধিকারের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু মুন্সির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও আপ বাংলাদেশের নেতা মাসুদ রানা, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ প্রমুখ।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেনর এক কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে বন্দরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শিক্ষক-শিক্ষকারা।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবারে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।
মানববন্ধরে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের প্রধান এ এইচ এম শামীম আহমেদ, মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম রুবেল, শিক্ষক হাসান কবির, আনোয়ার হোসেন, আরিফ হোসেন, মাহবুব আলম, শামীমা আক্তার বর্ণা, রোকসানা আক্তার প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে ৬৫ হাজার ৭শ’ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। যা দেশেরন ৫০ শতাংশ শিক্ষার চাহিদা পূরণ করে থাকে। আর এ সকল স্কুলে প্রায় ১ কোটির অধিক শিশু শিক্ষার্থী লেখা পড়া করে। আর ৫ম শ্রেণীতে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকারি বৃত্তিতে অংশ নিয়েছে।
কিন্তু গত ১৭ জুলাই বর্তমান সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বৃত্তিতে অংশ গ্রহণ বাতিল করে। যার কারণে ১ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পতিত হয়েছে।
বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ১৭ অনুচ্ছেদে দেশের সকল শিশুদের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিশুদের বুত্তিতে অংশগ্রহণ করতে না দেয় মানে সংবিধানের ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। যাতে শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।