ঝালকাঠিতে কর্দমাক্ত রাস্তায় কচুগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ
Published: 2nd, August 2025 GMT
ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি কাঁচা সড়ক পাকাকরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারাবুনিয়া এলাকায় তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তারা কর্দমাক্ত রাস্তায় কচুগাছ লাগিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয়রা জানান, মোল্লাবাড়ি থেকে জোড়াপোল হয়ে গোয়ালবাড়ি পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার কাঁচা সড়কে চলাচলে তাদের ব্যাপক ভোগান্তি হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পুরো রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন:
চাটমোহরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
জকসুর রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তি দাবি শিক্ষার্থীদের
মানববন্ধনে এলাকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সমাজ সেবকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন আব্দুল লতিফ মোল্লা, আবুল বাশার, বাশার, ইয়াসিন, সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক নাজমিন বেগম এবং লেবুবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লাবিদ ও মাহিম।
বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের সময় উন্নয়নের অনেক কথা শোনা গেলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। এমন উন্নয়ন হয়েছে যে, এখন আমরা কাদায় ভাসছি। রাস্তা না থাকলে এই কাদায় কচু চাষ করাই ভালো।
ঢাকা/অলোক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি, স্বজনদের মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাকসুদুল হাসান জনি হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে নিহতের পিতা শুক্কর আলী ও স্ত্রী ইভা আক্তার এ অভিযোগ করেন। এসময় মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান তারা।
নিহতের স্ত্রী ইভা আক্তার বলেন, আমাকে যারা অল্প বয়সে বিধবা ও ৩ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে জুনায়েদকে এতিম করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আসামিরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে এখন আবার হুমকিও দিচ্ছে।
মামলার বাদী নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় ৩ জন আসামি গ্রেফতার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী মহাসিন ভূঁইয়াসহ ৪ জন এখনো গ্রেফতার হয়নি।
তারা পলাতক থেকে তাদের লোকজনের মাধ্যমে মিমাংসা করে মামলা তুলে দেয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমি ও ছেলের বউ ইভা তার সন্ধান করতে নূরুল আনোয়ারের নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের সামনে গেলে নিরাপত্তারক্ষী আলমগীর আমাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।
অথচ সে জানতো আমার ছেলেকে ওই ভবনের একটি কক্ষে হত্যা করেছে। লাশ ভনের লিফটের হাউজের নর্দমা পানিতে রয়েছে। আমি এ পাষাণদের ফাঁসি চাই। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাই জুয়েল, ফাহিম ও বোন সুমাইয়া।
মানববন্ধনে নিহতের স্বজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন, ফজলুল হক মাদবর, লিটন, মাসুদ, জসিম, আব্দুল মজিদ, সুমন, শাহিন, আসলাম ও বাধনসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩ দিন পর গত মাসের ১৮ জুলাই দুপুরে নিমাইকাশারী এলাকার নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের লিফটের জন্য রাখা ফাঁকা জায়গায় জমে থাকা নর্দমা পানি থেকে জনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ১৯ তারিখে নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার নামীয় আসামি আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও আকাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেফতারের পর তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। গ্রেফতাররা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।