মহাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা গ্রহে প্রাণের উপস্থিতির তথ্য জানতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী গত এপ্রিলে জানিয়েছিলেন, সৌরজগতের বাইরে থাকা কে২-১৮বি গ্রহে প্রাণের উপস্থিতি থাকতে পারে। কিন্তু তাঁদের দাবির বিপক্ষে সম্প্রতি আরেক দল বিজ্ঞানী নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন।

কে২-১৮বি গ্রহটি একটি সুপার-আর্থ ঘরানার বড় গ্রহ। পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে থাকা গ্রহটি পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ২ দশমিক ৬ গুণ ও ভরের ৮ দশমিক ৬ গুণ। বাসযোগ্য অঞ্চলে একটি শীতল লাল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে গ্রহটি। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য ব্যবহার করে গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে ডাইমিথাইল সালফাইড ও ডাইমিথাইল ডাইসালফাইড অণু থাকার সম্ভাবনার কথা জানান কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে সালফারভিত্তিক যৌগ মূলত সামুদ্রিক অণুজীব থেকে উৎপাদিত হয়। তাই গ্রহটিতে প্রাণের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী নিক্কু মধুসূদন বলেন, ভিনগ্রহটিতে সম্ভবত কোনো প্রাণের ইঙ্গিত রয়েছে।

আরেক দল বিজ্ঞানী কে২-১৮বি গ্রহে কোনো অণুর উপস্থিতির প্রমাণ খুঁজে পাননি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির রেনু হু ও তাঁর সহকর্মীরা গত এপ্রিলে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য পেয়েছেন, যা বিতর্ক তৈরি করেছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী হু বলেন, সেই গবেষণায় গ্রহে বায়ুমণ্ডলে সালফার অণুর অস্তিত্ব থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিতর্কের জবাবে বিজ্ঞানী মধুসূদন জানান, পুনরায় তথ্য বিশ্লেষণ করেও সেখানে সালফারের নমুনা পাওয়া গেছে।

নতুন গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী লুইস ওয়েলব্যাঙ্কস বলেন, নতুন গবেষণাপত্র খুব স্পষ্টভাবে বলছে, সেখানে কোনো ডাইমিথাইল সালফাইডের প্রমাণ নেই। কোনো পরিসংখ্যানগত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক বিজ্ঞানী জ্যাক টেলর বলেন, ‘আমরা গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে শনাক্তযোগ্য স্তরে সালফার আছে কি না, তা জানার চেষ্টা করেছি। সেখানে এমন অণু আছে কি না, তা এখনো ভালো করে শনাক্ত করা যায়নি।’

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র ণ র উপস থ ত গ রহট

এছাড়াও পড়ুন:

‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত নায়িকা আরিফা পারভীন মৌসুমী। সোমবার (৩ নভেম্বর) ৫২ বছর বয়স পূর্ণ করলেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ এই দিনে দেশে নেই, সন্তানদের সঙ্গে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মৌসুমী। 

মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তার স্বামী ওমর সানী। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে চিত্রনায়ক ওমর সানী কয়েকটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে স্ত্রীকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন।  

আরো পড়ুন:

মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর

তারকাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

এসব ছবির ক্যাপশনে ওমর সানী লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। দূরে থেকেও আমরা কাছে এটাই বাস্তব, আর যারা আমাদেরকে নিয়ে উল্টাপাল্টা নিউজ করে ওরা হচ্ছে…। শুভ জন্মদিন।” 

জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা প্রিয় অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ওমর সানীর এই পোস্টে নেটিজেনদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মৌসুমীকে।  

চিত্রনায়িকা মুনমুন লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী, প্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী আপা।” শাহনূর লেখেন, “শুভ জন্মদিন আপু।” আইরিন সুলতানা লেখেন, “শুভ জন্মদিন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।  

১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন মৌসুমী। তার বাবার নাম নাজমুজ্জামান মনি ও মা শামীমা আখতার জামান। ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌসুমী। এরপর ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যার ওপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিক ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান। 

চিত্রনায়িকা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মৌসুমীর অভিষেক ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে। এ সিনেমায় সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। প্রথম সিনেমাতে নিজেদের মেধার জানান দেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনই ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেন। তারপর তিন দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে মেধার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মৌসুমী। 

নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ