ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটার জো রুট আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যাটার হিসেবে ছুঁলেন ৬ হাজার রানের বিরল মাইলফলক।

ওভালে ভারতের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এই রেকর্ড গড়েন রুট। মাত্র ২৫ রানের দরকার ছিল এই মাইলফলক স্পর্শ করতে। মোহাম্মদ সিরাজের একটি ডেলিভারিকে বাউন্ডারিতে পরিণত করে ২৮ রানে পৌঁছেই ইতিহাস গড়েন ইংলিশ তারকা।

ডব্লিউটিসির ৬৯টি ম্যাচ খেলে এই অসাধারণ অর্জনে পৌঁছেছেন রুট। এই প্রতিযোগিতায় এতদিন কেউ ৫ হাজার রানও করতে পারেননি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ করেছেন ৪ হাজার ২৭৮ রান, যেখানে তার ম্যাচ সংখ্যা ৫৫টি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা মারনাস ল্যাবুশেনের রান ৪ হাজার ২২৫, আর ম্যাচ সংখ্যা ৫৩টি।

আরো পড়ুন:

এক ওভারে ৪৫ রান, ইতিহাস গড়লেন আফগান ব্যাটসম্যান

আরও এক সেঞ্চুরিতে ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারদের পাশে গিল

তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন ইংল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক বেন স্টোকস (৫৭ ম্যাচে ৩৬১৬ রান) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেড (৫২ ম্যাচে ৩৩০০ রান)।

এদিকে চলতি সিরিজে একের পর এক রেকর্ড নিজের করে নিচ্ছেন রুট। কিছুদিন আগেই তিনি টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় রাহুল দ্রাবিড়, জ্যাক ক্যালিস এবং রিকি পন্টিংকে ছাড়িয়ে উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে।

জো রুটের এই অসাধারণ পারফরম্যান্স কেবল ইংল্যান্ডের জন্যই নয়, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায়ও যোগ করলো এক নতুন অধ্যায়।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া

চিপ কোম্পানি এনভিডিয়ার অগ্রযাত্রা চলছেই। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রাণভোমরা হচ্ছে এই চিপ। ফলে এনভিডিয়ার ব্যবসায়িক বিকাশই এখন প্রযুক্তি খাতের স্বাভাবিক ঘটনা। সে সুবাদে কোম্পানিটি একের পর এক সমৃদ্ধির মাইলফলক অর্জন করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

সফলতার ধারাবাহিকতায় জেনসেন হুয়াং প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি গত বুধবার বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের বাজার মূলধনের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেসের।

বাজার মূলধন ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে ওঠার খবরে বুধবার এনভিডিয়ার শেয়ারের দর ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে যায়। এই দাম বাড়ার ফলে দিন শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক শূন্য ৩ ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

এক মাইলফলক থেকে আরেক মাইলফলক অর্জন করতে এনভিডিয়ার তেমন একটা সময় লাগছে না। ২০২৩ সালের জুন মাসে কোম্পানিটি প্রথম এক ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারের বাজার মূলধনের মাইলফলক স্পর্শ করে। তার ২৯ মাসের মাথায় কোম্পানিটি ৫ লাখ কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল।

এক লাখ কোটি ডলারের বাজার মূলধন থেকে দুই লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাতে এনভিডিয়ার সময় লেগেছিল ১৮০ দিন। এরপর দুই লাখ কোটি ডলার থেকে তিন লাখ কোটি ডলারে যেতে লেগেছে মাত্র ৬৬ দিন। সর্বশেষ চার লাখ কোটি ডলার থেকে পাঁচ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৭৮ দিন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থানের ঢেউয়ে চেপে এগিয়ে চলেছে এনভিডিয়া—যে প্রবণতা শুরু হয়েছে ২০২২ সালের শেষ দিকে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আর গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ১ হাজার ৫০০ শতাংশের বেশি। সেই তুলনায় এ বছর এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বেড়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ ও ন্যাসডাকে ২৩ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বর্তমানে এনভিডিয়ার বাজার মূলধন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ছাড়া এখন বিশ্বের যেকোনো দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের চেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির আকার ২৯ দশমিক ১৮ ট্রিলিয়ন ডলার, আর চীনের জিডিপি ১৮ দশমিক ৭৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এর পেছনে জার্মানির অবস্থান। সে দেশের জিডিপির আকার ৪ দশমিক ৬৬ ট্রিলিয়ন ডলার।

কোম্পানিস মার্কেট ডট কমের তথ্যানুসারে, বাজার মূলধনের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে মাইক্রোসফট; তাদের বাজার মূলধন ৪ লাখ ২৫ হাজার কোটি ডলার। ৪ লাখ কোটি ডলারের বাজার মূলধন নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে অ্যাপল। ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে অ্যালফাবেট। ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে অ্যামাজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া