টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়লেন রুট, ছুঁলেন অনন্য মাইলফলক
Published: 4th, August 2025 GMT
ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটার জো রুট আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যাটার হিসেবে ছুঁলেন ৬ হাজার রানের বিরল মাইলফলক।
ওভালে ভারতের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এই রেকর্ড গড়েন রুট। মাত্র ২৫ রানের দরকার ছিল এই মাইলফলক স্পর্শ করতে। মোহাম্মদ সিরাজের একটি ডেলিভারিকে বাউন্ডারিতে পরিণত করে ২৮ রানে পৌঁছেই ইতিহাস গড়েন ইংলিশ তারকা।
ডব্লিউটিসির ৬৯টি ম্যাচ খেলে এই অসাধারণ অর্জনে পৌঁছেছেন রুট। এই প্রতিযোগিতায় এতদিন কেউ ৫ হাজার রানও করতে পারেননি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ করেছেন ৪ হাজার ২৭৮ রান, যেখানে তার ম্যাচ সংখ্যা ৫৫টি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা মারনাস ল্যাবুশেনের রান ৪ হাজার ২২৫, আর ম্যাচ সংখ্যা ৫৩টি।
আরো পড়ুন:
এক ওভারে ৪৫ রান, ইতিহাস গড়লেন আফগান ব্যাটসম্যান
আরও এক সেঞ্চুরিতে ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারদের পাশে গিল
তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন ইংল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক বেন স্টোকস (৫৭ ম্যাচে ৩৬১৬ রান) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেড (৫২ ম্যাচে ৩৩০০ রান)।
এদিকে চলতি সিরিজে একের পর এক রেকর্ড নিজের করে নিচ্ছেন রুট। কিছুদিন আগেই তিনি টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় রাহুল দ্রাবিড়, জ্যাক ক্যালিস এবং রিকি পন্টিংকে ছাড়িয়ে উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে।
জো রুটের এই অসাধারণ পারফরম্যান্স কেবল ইংল্যান্ডের জন্যই নয়, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায়ও যোগ করলো এক নতুন অধ্যায়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক
পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। ১৯২৫ সালে লেখা অমর এ কবিতার শতবর্ষ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ‘কবর’ কবিতা তৎকালীন সময়ের সমাজের চিত্রকে তুলে ধরেছে।
‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত ‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে এ কথা বলেন বক্তারা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন মফিজ ইমাম মিলন। ৪৮ জন লেখকের লেখা নিয়ে প্রকাশিত এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছে নয়নজুলি প্রকাশনাী।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসে জসীমউদ্দীনের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার নানান প্রসঙ্গ। কবিতাটি ১৯২৫ সালে ‘গ্রাম্য কবিতা’ পরিচয়ে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যায়।
আলোচকেরা বলেন, ‘কবর’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল। কবিতাটি দীনেশচন্দ্র সেন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। এমনকি ‘কবর’ পড়ে দীনেশচন্দ্র সেন ‘অ্যান ইয়াং মোহামেডান পোয়েট’ শিরোনামে একটি আলোচনাও লিখেছিলেন ফরওয়ার্ড পত্রিকায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আববার বলেন, ‘কবর’ কবিতার শত বছর পূর্তির ঘটনা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কবিতাটির শতবর্ষ নিয়ে বই প্রকাশ ব্যতিক্রমী প্রয়াস।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি শহরে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের মতো সংগঠন থাকা উচিত। একটা বৃহত্তর পরিবারের মতো কাজ করে তারা। তিনি বলেন, এ ধরনের নাগরিক সমাজ রাষ্ট্রের বাইরে থেকে দেশ ও সমাজ সম্পর্কে ভাবে। এটা বিশাল শক্তি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জালাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদী, পক্ষিবিশারদ ইনাম আল হক, কথাসাহিত্যিক ফারুক মঈন উদ্দীন। গবেষক, সাংবাদিক ও ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন নয়নজুলি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী খান, অধ্যাপক এম এ সামাদ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায়, ডেইলি স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ প্রমুখ।
‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘কবর’ কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য দেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।