গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ‘বৃদ্ধাশ্রম ও অসহায় প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র’ এবং এর সঙ্গে যুক্ত ‘শিশু মিতালী’ শিশু পার্কটিকে ঘিরে উঠেছে নানান বিতর্ক। 

স্থানীয়দের অভিযোগ- মানবিক সেবার নামের আড়ালে এখানে কম বয়সী তরুণ-তরুণীদের জন্য অনৈতিক কর্মকাণ্ডের নিরাপদ আস্তানা গড়ে উঠেছিল। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজপোর্টাল ও টেলিভিশনে একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়।

অন্য দিকে প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী বকুল চৌধুরী অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, তিনি আসলে চাঁদাবাজির শিকার। 

তিনি বলেন, “কিছু চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিপরায়ণ লোক আমার সুনাম নষ্ট করতে চাইছে। তারা বাইরে থেকে কিছু ছেলে-মেয়ে এনে ছবি-ভিডিও করে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অপপ্রচার চালায়। পরে মধ্যস্থতা করার নামে টাকা দাবি করে। তাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে আমি ‘শিশু মিতালী’ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছি।”

তিনি জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনি এখনো পুলিশ বা প্রশাসনের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। বরং সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করলে তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের দাবি জানান।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আলাউদ্দিন বলেন, “প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক অভিযোগ ছিল। গণমাধ্যমেও বিষয়টি এসেছে। তবে চাঁদাবাজির বিষয়ে মালিক পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। আপনারা বিষয়টি জানালেন, আমরা খোঁজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয়রা জানান, টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বালীগাঁও এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ‘বৃদ্ধাশ্রম ও অসহায় প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র’ এবং ‘শিশু মিতালী’ এই নামের আড়ালে একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠছিল। 

প্রতিষ্ঠানটির গেটে সম্প্রতি টানানো হয়েছে বড় একটি লাল ব্যানার, তাতে লেখা “পরোক্ষ চাঁদাবাজির জন্য শিশু মিতালী সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।” তবে কে বা কারা এটি চাঁদাবাজি করেছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/রফিক/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল্লার শয্যাপাশে বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম

বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিনিয়র  স্টাফ রিপোর্টার অসুস্থ্য প্রবীন সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ খোঁজ খবর নিলেন বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর কলাবাগস্থ তার নিজ বাড়িতে এসে তারা এ খোঁজখবর নেন । ওই সময় সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহর পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান ও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক জি.এম. সুমন একই কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  আমির হোসেন,বন্দর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিপন,দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি শেখ আরিফসহ বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য,সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ গত শনিবার সকাল এগারোটার দিকে প্রচন্ড ভাইরাস জ্বড়ে অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে বাড়িতে টানা ৬ দিন যাবৎ তিনি অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী রয়েছেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.ফারুক আহেমেদের নিবির পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলেও শংকা কাটেনি বলে জানা গেছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ