ডাকসুর ভোট গণনা চলছে, ফল জানতে সিনেটে ভিড়
Published: 9th, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর এখন চলছে গণনা। আর ফলাফল জানতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা সিনেট ভবনে জড়ো হচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টায় এই খবর লেখা পর্যন্ত গৃহীত ভোট গণনা চলছিল। যতদূর জানা গেছে, আরো সময় লাগবে গণনা শেষ করতে। তবে ফলাফল নিয়ে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য বলা যায় না: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
ঢাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বুধবার
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ হয়। লাইনে থাকা ভোটারদের ৪টার পরও ভোট দিতে দেওয়া হয়।
এবার ডাকসুর ৩৭তম নির্বাচন, যেখানে ভোট পড়েছে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এবার মোট ভোটার প্রায় ৪০ হাজার। ভোট ঘিরে হলে হলে আনন্দের সঙ্গে উৎকণ্ঠাও দেখা যায়।
ভোটগ্রহণের পুরো ৮ ঘণ্টা উৎসবমুখর ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ভোটগ্রহণের সময় কিছু কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন, অসন্তোষ প্রকাশ করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী। অবশ্য অভিযোগ আমলে নিয়ে তা শক্ত হাতে মীমাংসা করার দাবি করেছে প্রশাসন।
এই গভীর রাতে এখন সবাই অপেক্ষা করছে ফলাফলের। কে হচ্ছেন ডাকসুর ভিপি, সেদিকেই সারা দেশের মানুষের নজর। টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ার লাইভের দিকে চোখ পেতে আছে কোটি মানুষ।
ভোট গণনা যত এগোচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে ততই বাড়ছে মানুষের ভিড়। শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার, নীলক্ষেতে অপেক্ষায় রয়েছে বহু মানুষ; পছন্দের প্রার্থীর ফল জানতে রাত জেগে আছেন তারা।
আর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে সিনেট ভবনে; ফলে সেখানেই শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছেন।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে যতটা জানা যাচ্ছে, তাতে ভিপি পদে জয়ের দৌড়ে দুটি নাম উঠে আসছে। ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম খান ও শিবির-সমর্থিত প্যানেলের সাদিক কায়েমের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে। তবে এই দুজনের বাইরে অন্য কেউও দৌড়ে এগিয়ে যেতে পারেন। এখন অপেক্ষা সেই কাঙ্ক্ষিত নামটি জানার।
ডাকসুকে বলা হয় ‘দ্বিতীয় সংসদ’ বা ‘মিনি সংসদ’। জাতীয় সংসদের ছায়া দেখা যায় ডাকুসতে। বলা হয়ে থাকে, ডাকসুর নির্বাচন থেকে জাতীয় রাজনীতির হালচাল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কারণ, এই নির্বাচনের মানুষের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে শাহবাগে ভোটের ফল জানতে অপেক্ষমাণ কয়েকজনের কথা হয়। তারা পছন্দের প্রার্থীর জন্য দোয়া করছেন, যেন কাঙ্ক্ষিত ফলই তারা শুনতে পারেন।
ঢাকা/রায়হান/মেহেদী/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।