ঝিনাইদহে গাজী-কালু চম্পাবতী মাজারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
Published: 18th, September 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকার গাজী-কালু চম্পাবতী মাজারের ওরস শরীফের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে কমিটির উপদেষ্টা, সদস্যসহ ২৮ জন স্বাক্ষর করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি বছরের ফাল্গুন মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও ভাদ্র মাসের শেষ বৃহস্পতিবার গাজী-কালু চম্পাবতীর মাজারে ওরস অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সারাদেশ থেকে ভক্তবৃন্দ আসেন এবং মাজারের উন্নয়নের জন্য অর্থ দান করেন।
চলতি বছর ২টি ওরসে আনুমানিক প্রায় ১৫ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এই টাকার হিসাব চাইলে সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ক্যাশিয়ার কর্ণপাত করছেন না। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের মতো করে মাজারের টাকা লুটপাট করছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী-কালু চম্পাবতীর মাজারের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‘যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা একদমই মিথ্যা। হিসাবের সবকিছু আমার কাছে আছে। আমি হিসাব দিতে প্রস্তুত। আমি শুধু হিসাবের খাতা দেখি, টাকা খরচ করেন কমিটির সিনিয়র সদস্যরা।’’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম বলেন, ‘‘গাজী-কালু চম্পাবতী মাজারের অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।’’
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
শেরপুরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করায় দুই সার ব্যবসায়ীকে প্রায় সোয়া লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুর পৌর শহরের আখের মাহমুদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এক বিএডিসি সার ডিলারকে ১ লাখ টাকা ও লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রি করায় আরেক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরো পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে ১০০০ স্থাপনা উচ্ছেদ
ঝিনাইদহে ২৫০টি অবৈধ জাল জব্দ, বাঁধ উচ্ছেদ
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জরিমানার তথ্য জানান।
ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া বলেন, ‘‘সার বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই অসাধু ব্যাবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। কৃষকের উপর জুলুম মেনে নেওয়া হবে না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের বিভিন্ন সোর্স এ সব অসাধু ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর রাখছেন। যার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’’ জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানকালে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে কৃত্রিম সার সংকট দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করছেন। বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের আখের মাহমুদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বেশি দামে সার বিক্রির প্রমাণ পেয়ে বিএডিসি সার ডিলার মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রয় করায় একই বাজারের কীটনাশক বিক্রেতা শিশির এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু বলেন, ‘‘আমন মৌসুসে সারের দাম ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় আমরা নিয়মিত অভিযান করছি। আমরা যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানে অভিযান পরিচালনা করছি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির সুযোগ নেই।’’
ঢাকা/তারিকুল/বকুল