মায়ামিতেই থাকছেন মেসি, নতুন চুক্তি চূড়ান্ত
Published: 18th, September 2025 GMT
মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি যেন থাকছেন আরও কিছুটা সময় আমেরিকায়। বুধবার ইএসপিএনের খবরে জানা গেছে, ইন্টার মায়ামির সঙ্গে কয়েক বছরের নতুন চুক্তির প্রায় শেষ ধাপে পৌঁছে গেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। শুধু সামান্য কিছু বিষয় গুছিয়ে নিলেই ঘোষণা আসতে পারে। যদিও আর্থিক শর্তাবলীর বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
২০২৩ মৌসুমে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত তাকে পাবে ফ্লোরিডাভিত্তিক এই ক্লাব। তবে নতুন চুক্তি হলে হয়তো আরও দীর্ঘ সময় মায়ামির হয়ে মাঠ মাতাবেন ৩৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
আরো পড়ুন:
মেসির গোলে, অ্যাসিস্টে মায়ামির জয়
মেসির পেনাল্টি মিস, মায়ামির হার
এ মৌসুমেই দুর্দান্ত ছন্দে আছেন তিনি। এমএলএসে ২১ ম্যাচে করেছেন ২০ গোল, যা লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। পাশাপাশি ১১টি অ্যাসিস্টও করেছেন, যা তাকে অ্যাসিস্টের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রেখেছে। গত মৌসুমেও ছিলেন সমান উজ্জ্বল। ২০ গোলের সঙ্গে ১৬ অ্যাসিস্ট করে দুই বিভাগেই শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
ইন্টার মায়ামির হয়ে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৪৬ লিগ ম্যাচে করেছেন ৪১ গোল এবং ২৭টি অ্যাসিস্ট। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪, খেলেছেন মাত্র ৬২ ম্যাচ। মায়ামির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টদাতা দুটোই তিনি।
ফুটবলের ইতিহাসে সর্বাধিক ৮ বার ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি গড়েছেন এক অনন্য সাম্রাজ্য। ২০০৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বার্সেলোনায় থেকে ১০টি লা লিগা ও ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতান তিনি। এরপর পিএসজির হয়ে খেলেন দুই মৌসুম, জেতেন আরও দুটি লিগ ওয়ান শিরোপা। জাতীয় দলের জার্সিতে জিতেছেন ২০২১ ও ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা এবং ২০২২ সালের বিশ্বকাপের গৌরবময় ট্রফি।
এমএলএসে আসার পরপরই ইন্টার মায়ামিকে এনে দেন ২০২৩ সালের লিগস কাপ শিরোপা। তার পরের বছর ২০২৪–এ তারা জেতে সাপোর্টার্স শিল্ড, যদিও প্লে–অফের প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিতে হয়। বর্তমানে ইন্টার মায়ামি এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৪ জয়, ৬ ড্র ও ৭ হারে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
আগামী শনিবার ডি.
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ইন ট র ম য় ম
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ