‘বৈচিত্র্য’ মূল শক্তি সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের
Published: 19th, September 2025 GMT
আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একজন নারী প্রার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, রাকসুর ৬৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী ভিপি পদে লড়ছেন। এই নারী শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে রাকসু নির্বাচনে লড়ছে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল।
২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন। রাকসুতে সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তাসিন খান। এ প্যানেলে পাহাড়ি, সনাতন ধর্মাবলম্বী, নারী, কবি, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনের পরিচিত মুখ রাখা হয়েছে। নারী ভিপি প্রার্থীসহ এই বৈচিত্র্য প্যানেলটির ‘মূল শক্তি’ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়ছেন ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাজন আল আহমেদ ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সাবেক সমন্বয়ক মাহাইর ইসলাম।
প্যানেলের শক্তিতাসিন খান ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন। জিএস প্রার্থী রাজন বিজ্ঞান অনুষদে পরিচিত মুখ। এজিএস মাহাইর সাবেক সমন্বয়কের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে বেশ পরিচিত। এ ছাড়া প্যানেলে তিনজন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যকে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ক্রীড়া ও খেলাধুলাবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শীত কুমার ওরাং, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অমিত তঞ্চঙ্গ্যা, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা।
শীত কুমার ওরাং একজন সংগ্রামী মানুষ। তিনি চা–শ্রমিক ছিলেন। ভালো ফুটবলার হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে।
বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন গোপাল রায়। গোপাল ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ, তিনি শিল্প-সাহিত্য চর্চা করেন। প্যানেলে আরও দুজন নারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাঁরা হলেন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে সামসাদ জাহান ও সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে নাদিয়া হক। সামসাদও ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ।
এ ছাড়া এ প্যানেল থেকে সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক মো.
রাকসুর ২৬ পদের মধ্যে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ ১৯টি পদে প্রার্থিতা দিয়েছে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁরা প্রার্থিতা দিতে পারেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাকসু নির্বাচনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তোফায়েল আহমেদ। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছে তাসিনদের প্যানেল। তোফায়েল বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সভাপতি ও সায়েন্স ক্লাবের সহসভাপতি।
এ বিষয়ে তাসিন খান বলেন, ‘আমরা যেসব মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা এক জোট হয়েছি, সে রকম মতাদর্শের কাউকে বাকি পদগুলোতে পাইনি। এ জন্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করতে পারিনি।’
আরও পড়ুনগান, গম্ভীরা, চিঠি—রাকসু নির্বাচনের প্রচারণায় অভিনব যত কৌশল৪ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর চ ত ম খ সমন বয়ক করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্রান্সজুড়ে কৃচ্ছ্রতা বিরোধী বিক্ষোভ
ফ্রান্সজুড়ে কৃচ্ছ্রতা বিরোধী বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো জানিয়েছে, তারা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তার নতুন প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে বাজেট কাটছাঁট বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিক্ষোভের দিন ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষক, ট্রেন চালক, ফার্মাসিস্ট এবং হাসপাতালের কর্মীরাও ছিলেন। একই সময় কিশোর-কিশোরীরা কয়েক ডজন উচ্চ বিদ্যালয় অবরোধ করেছিল।
বিক্ষোভকারীরা সাবেক সরকারের আর্থিক পরিকল্পনা বাতিল করার, জনসেবাগুলোতে আরো ব্যয় করার, ধনীদের উপর উচ্চ কর বৃদ্ধির এবং পেনশন পেতে মানুষকে দীর্ঘ সময় কাজ করতে বাধ্য করার একটি অজনপ্রিয় নীতি পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে।
সিজিটি ইউনিয়নের প্রধান সোফি বিনতে বলেছেন, “ক্ষোভ বিশাল, আর সেই সাথে দৃঢ় সংকল্পও। আজ লেকর্নুর প্রতি আমার বার্তা হল: বাজেট নির্ধারণের দায়িত্ব রাস্তার উপরই বর্তাবে।”
বিনতে জানান, ফ্রান্সজুড়ে সকালের সমাবেশে চার লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। দেশের অন্যান্য অংশে এখনো সমাবেশ শুরু হয়নি।
একদিকে বাজেট কমানোর বিরোধী বিক্ষোভকারী ও বামপন্থী দলগুলোর এবং অন্যদিকে ইউরো জোনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ঘাটতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীদের চাপের মধ্যে রয়েছেন ম্যাক্রোঁ ও লেকর্নু।
বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ সম্পর্কে সিএফডিটি ইউনিয়নের প্রধান মেরিলিস লিওন বলেন, “এটি সতর্কীকরণ, সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর প্রতি একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। আমরা সামাজিকভাবে একটি ন্যায্য বাজেট চাই।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র চলতি সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছিল, ধর্মঘট ও বিক্ষোভে আট লাখেরও বেশি লোক অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এফএসইউ-এসএনইউআইপিপি ইউনিয়ন জানিয়েছে, প্যারিসে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ধর্মঘটে ছিলেন এবং প্রায় দুইজনের মধ্যে একজন চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন।
ঢাকা/শাহেদ